আব্দুর রাজ্জাক, মানিকগঞ্জ: ঘিওর ধলেশ্বরী নদীর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ ঘিওর-কুস্তা-খলসী-নারচী রাস্তাটি পূর্ন মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। ২৫ বছর পরে দুটি উপজেলার ৫ ইউনিয়নের হাজার হাজার লোকজনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
আজ সোমবার বিকেলে সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় রাস্তার কাজের অগ্রগতি দেখতে আসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী মোঃ মাঈন উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক মোঃ হামিদুর রহমান আলাই, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল বাশার প্রমুখ।
জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় ধলেশ্বরী নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায় ঘিওর-কুস্তা- নারচী সড়কটি। এর পরে কয়েক দফা বন্যায় বহু বাড়ি ঘড়, ফসলি জমি সম্পূর্ণ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘদিন যাবৎ ঘিওর উপজেলার ঘিওর সদর ও পয়লা এবং দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর, খলসি, চরকাটারি ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নের লোকজনকে বিকল্প পথে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হতো। সকল প্রকার নৃত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী পরিবহনের ক্ষেত্রেও অধিক টাকা ব্যয় করতে হতো।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ ইকরামূল ইসলাম খবির জানান, ধলেশ^রী নদীর ভাঙ্গনে ঘিওর-কুস্তা-খলসী-নারচী রাস্তাটি সংস্কার করায় এলাকার হাজার হাজার মানুষের উপকার হবে। রাস্তাটি মেরামত করায় এলাকার সাধারন লোকজন ভীষন খুশি হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় জানান, ২০১৭ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ৯০ লক্ষ টাকা এবং পরে কুস্তা-নারচী এলাকার ১ কোটি ৭৮ লাখ ১৮ হাজার টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হতে না হতেই বর্ষার পানির তোড়ে নদীর গতিপথ স্বাভাবিক রাখার বাঁধে ধ্বস নামে। এমনকি নদী পাড়ে ভাঙন শুরু হয়। পরে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধ করা হয়। এবার চলতি মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১ কোটি ১৩ লাখ এবং এলজিইডি ৫৪ লাখ টাকা ক্যয়ে কাজ শুরু করেছে। সংস্কার কাজ শেষ হলে দুটি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াতের সুফল পাবে ।