sliderশিক্ষাশিরোনাম

২০ লাখ শিক্ষার্থী অন্ধকারে অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন

গত ৩ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ঘোষণা করেন চলতি বছরের (২০১৮ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য) প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) থাকছে না। এমসিকিউ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তকে ‘বিপ্লবাত্মক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি; কিন্তু মন্ত্রীর এ ‘বিপ্লবী’ ঘোষণা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারই মন্ত্রণালয় সাত দিন পর। সাত দিন আগে মন্ত্রী আরো বলেছিলেন, পঞ্চম শ্রেণীর জন্য নির্ধারিত সিলেবাস থেকেই শতভাগ যোগ্যতা ভিত্তিক বা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে শিক্ষার্থীদের।
কিন্তু এখন প্রশ্নের ধরন কি হবে? রচনা মূলক প্রশ্ন কতগুলো থাকবে? শত নাম্বারের সৃজনশীল প্রশ্নের ধরন কি হবে? এরূপ শত জিজ্ঞাসা এখন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে। রাজধানীসহ সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এখনো পাঠদান চলছে আগের নিয়মে। অর্থাৎ এমসিকিউসহ সৃজনশীল প্রশ্নের আগের নিয়মে।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমি (নেপ) গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শিা সমাপনী পরীার প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন করে আদেশ জারি করে। তার দেড় মাসের মধ্যে আবার নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। তা হচ্ছে শতভাগ যোগ্যতা ভিত্তিক বা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে শিার্থীদের। নেপ সূত্রে জানা গেছে, শিগগির নতুন নিয়মে প্রশ্নপত্রের কাঠামো চূড়ান্ত করে অ্যাকাডেমির ওয়েবসাইটে দেয়া হবে এবং সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেয়া হবে। তবে গতকাল পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে গতকাল জানা গেছে, চলতি বছরের সমাপনী পরীক্ষায় এমসিকিউ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত গত পরশু প্রাথমিক ও গণশিা মন্ত্রণালয় দাফতরিকভাবে গ্রহণ করেছে। এখন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় প্রাথমিক শিা অ্যাকাডেমিকে (নেপ) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নেপ এ ব্যাপারে অর্থাৎ এমসিকিউ বাদ দেয়ার পর প্রশ্নের ধরন কি হবে তা চূড়ান্ত করবে এবং অনুমোদনের জন্য তা আবারো মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর তা আবার নেপকে অবহিত করা হবে। এরপরই নেপ তা তাদের ওয়েবসাইটে দেবে।
জাতীয় প্রাথমিক শিা অ্যাকাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক মো: শাহ আলম বলেন, এমসিকিউ বাদ দিয়ে শতভাগ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন প্রণয়ন করার সিদ্ধান নেয়া হয়েছে। প্রশ্নের কাঠামো প্রণয়ন করে শিগগিরই তা ওয়েবসাইটে দেয়া হবে।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের বিষয়টি সম্পর্কে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বর মাসে এখনো অনেক দিন সময় হাতে আছে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
মন্ত্রী জানান, এ ব্যাপারে বিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি শিকদের পাঠ্যসূচি অনুসারে শিার্থীদের পড়ানোর জন্য আহ্বান জানান। নয়া দিগন্ত

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button