sliderশিক্ষাশিরোনাম

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা জনপ্রিয় করতে তিন দফা দাবি

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করে তুলতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সফল হয়েছে। করোনাকালে সারা দেশে সাড়ে ১৫ লাখের বেশি মানুষকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধ এবং এই চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে হোমিওপ্যাথির উচ্চতর গবেষনার জন্য জাতীয় রিসার্চ সেন্টার, উচ্চতর শিক্ষার জন্য হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং আধুনিক হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের নেতারা।
আজ বুধবার রাজধানীর বিজয়নগরে একটি হোটেলে ‘করোনা প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ভূমিকা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভায় তারা এই দাবি জানায়। এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। সভায় সভাপত্বি এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করনে বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়।
এতে তিনি বলেন, বিশে^র বিভিন্ন দেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। সম্ভবনা থাকার পরেও বাংলাদেশে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা অবহেলিতই থেকে গেছে। সহজ লভ্যতা ও পাশ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকায় দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আস্থা রাখেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করে তুলতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সফল হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ডা. মো. রাশিদুল হক জানান, করোনায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে কোভিড-১৯ পজেটিভ ১০৩ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে ৯৭ জনই নেগেটিভ হয়েছেন। ৩ হাজার ২৫৫ জন প্রতিরোধ মূলক চিকিৎসা সেবা নিয়ে তারা সবাই এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সদস্য ডা. শেখ মো. ইফতেখার উদ্দিন, ডা. আশীষ শংকর নিয়োগী, ডা. মো আতাহার আলী, ডা. মো. নজরুল ইসলাম সুমন, ডা. মো. ইসরাফিল হোসেন মুন্সি, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতি বাংলাদেশের সভাপতি ডা. কামারুজ্জামান ভূঁঞা প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বোর্ডের রেজিস্ট্রার কাম সচিব ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button