slider

হোমনা সরকারি হসপিটালে চিকিৎসারত ফাতেমা মৃত্যুর ঘটনায় বিচার দাবিতে মানববন্ধন

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) সংবাদদাতা: কুমিল্লার হোমনা উপজেলার সরকারি হসপিটালে চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলার কারণে চিকিৎসারত ২১ মাস বয়সী ফাতেমা মৃত্যুর ঘটনায় আজ ২১ এপ্রিল রোববার বেলা ১১ টায় সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণ। হসপিটাল সূত্রে জানা গেছে গত শুক্রবার রাতে কুমিল্লার হোমনা সরকারি হসপিটালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.সাদী মাসুদ আল তুরাব ও নার্স আফরোজা এবং আকলিমা কর্তব্যরত ছিলেন। রাত সাড়ে ন’টায় হসপিটাল নিকটবর্তী মোঃ রহিম এর মেয়ে ফাতেমা ২১ মাস বয়সীকে ভর্তি করায় ডা. সাদী মাসুদ আল তুরাব, এসময় তাঁকে স্যালাইন দেওয়ার একপর্যায়ে হাতের কিছু অংশ নীল বর্ন ও জ্বর সহ শরীরে খিচুনি দেখা দিলে নার্সকে বলা হয় দ্রুত ওই চিকিৎসককে জানাতে, কিন্তু নার্স বিষয়টি গড়িমসি করার অভিযোগ থাকলেও বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদী মাসুদ আল তুরাব ওই সময় অন্যএকজন ডাক্তারের সাথে হসপিটালের বাইরে খোশগল্প করছিলেন। এমনকি অন্য রোগীরা ডা. তুরাবের ফোন নাম্বারে ফোন করলে যার সাথে তিনি গল্পে ছিলেন ওই ডাক্তার ফোন রিসিভ করেছে। অবহেলার কারণে ২১ মাস বয়সী ফাতেমা মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসক ও নার্সদের দোষারোপ ও বিচার দাবিতে আজ রোববার উপজেলা সদর প্রধান সড়ক ও হাসপাতাল সড়কে মানববন্ধন করেছে সর্বস্তরের জনগণ। আমার বোন মরলো কেন জবাব চাই দিতে হবে -চিকিৎসা সেবা ভিক্ষা নয় মৌলিক অধিকার শ্লোগানে শ্লোগানে সড়ক মুখরিত করে তুলে বিক্ষুব্ধ জনতা। ফাতেমা মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার রাতেই মারমুখী জনতা হাসপাতাল ঘেরাও করলে তৎক্ষনাৎ পুলিশ গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। রোববার সরজমিন গিয়ে দেখা যায় পুরো উপজেলা সদরে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। হসপিটালে গিয়ে জানা গেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস ছালাম সিকদার কুমিল্লায় সিভিল সার্জনের অফিসে মিটিংএ রয়েছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, ফাতেমা মৃত্যুর ঘটনায় কারো অবহেলা আছে কি না তা ক্ষতিয়ে দেখতে এবং দোষী হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে, তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রথম ব্যাক্তি ডা. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, শনিবার অফিস টাইমের পর তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পেয়েছেন। নার্সদের সাথে কথা বলতে গেলে তাঁরা জানান, হসপিটালের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কথা বলা যাবে না। উল্লেখ্য হোমনা সরকারি হসপিটালের অধিকাংশ ডাক্তার বিধিবিধান মানছে না,তাঁরা অফিস টাইমের সময়ও হসপিটালের বাইরে ব্যাক্তিগত চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ভুক্তভোগী রোগীরা জানতে চায় এখানে কি কোনো নিয়মনীতি মানা হবে না?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button