
বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ শুক্রবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খবরটি সামাজিক মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন এই তারকার ফুফাতো বোন তায়েবা নবী তান্নু।
এছাড়াও খবরটি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেন চিত্রপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। ফেরদৌস ওয়াহিদের জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
এর আগে ২০২০ সালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ফেরদৌস ওয়াহিদ। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েছিলেন রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।
৬৯ বছর বয়সী এ সংগীতশিল্পী কয়েক বছর ধরে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
তার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া জানান।
উল্লেখ্য, এদেশের পপসঙ্গীতকে জনপ্রিয় করতে যারা এগিয়ে এসেছিলেন তাদের একজন ফেরদৌস ওয়াহিদ। পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন এই শিল্পী।
১৯৫৩ সালের ২৬ মার্চ মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর থানায় জন্ম নেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। তার বাবা ওয়াহিদ উদ্দিন আহমেদ ও মা উম্মে হাবিবা নূরজাহান। ছয় ভাই, তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
ফেরদৌস ওয়াহিদ গান শেখা শুরু করেন ওস্তাদ মদনমোহন দাশের কাছে। পরে লোকসংগীতে তালিম নেন আব্দুল আলিমের কাছে। ক্লাসিকাল গান শেখেন ওস্তাদ ফজলুল হকের কাছে।
তিনি প্রথম সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেন দেওয়ান নজরুল পরিচালিত ‘আসামি হাজির’ সিনেমায়। সিনেমাটির নির্মাতার লেখা ও আলম খানের সুর সংগীতে সাবিনা ইয়াসমিন সঙ্গে ‘আমার পৃথিবী তুমি’ গানটি করেন তিনি।
সিনেমায় তার অনান্য আলোচিত গানের মধ্যে রয়েছে ‘ওগো তুমি যে আমার কতো প্রিয়’, ‘আমি এক পাহারাদার’,‘ শোন ওরে ছোট্ট খোকা’, ‘আমি ঘর বাঁধিলাম’ ইত্যাদি।
চলচ্চিত্রের বাইরে ফেরদৌস ওয়াহিদের গাওয়া আলোচিত গান হচ্ছে ‘মামুনিয়া’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘এমন একটা মা দে না’, ‘তুমি আমি যখন একা’, ‘খোকা’। তাছাড়া তার পনেরোর অধিক একক অ্যালবাম রয়েছে।
গানের বাইরে অভিনয় ও পরিচালনা করেছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। ১৯৯৮ সালে আবুল হোসেন খোকন পরিচালিত ’ভয়ঙ্কর বদমাশ’ সিনেমাতে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেন তিনি। তারপর তার নিজের নির্মিত সিনেমা ‘কুসুমপুরের গল্পতেও অভিনয় করেন।
সূত্র : ইউএনবি