আসাদউদ্দিনকে বলতে শোনা যায়, ‘যদি আমাদের মেয়েরা হিজাব পরতে চায়, তাদের বাবা-মায়েরা সমর্থন করবেন, তার পর দেখি কে আটকায়।’
ভারতের কর্নাটক রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে হিজাব নিয়ে চলা বিতর্কের আঁচ দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশটির অল ইন্ডিয়া মজলিশ-এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা মিম দলের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি মন্তব্য করেছেন, হিজাব পরা মেয়েই একদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
রোববার ভারতীয় পার্লামেন্টের সদস্য আসাদউদ্দিন নেটমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘হিজাব পরা মহিলা কলেজে যাবেন, জেলা কালেক্টর হবেন, জেলাশাসক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ইত্যাদি হবেন।’
সভায় উপস্থিত একঝাঁক মানুষের উদ্দেশে আসাদউদ্দিনকে বলতে শোনা যায়, ‘যদি আমাদের মেয়েরা হিজাব পরতে চায়, তাদের বাবা-মায়েরা সমর্থন করবেন, তার পর দেখি কে আটকায়।’ তার পর যোগ করেন, ‘তখন আমি হয়তো বেঁচে থাকব না, কিন্তু আমার কথা মনে রাখুন, একদিন হিজাব পরা মেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবে।’
এ নিয়ে তার কাছে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে সংবাদমাধ্যমের সামনে আর কিছু বলতে চাননি ওয়েইসি। অন্যদিকে তাকে কটাক্ষ করেছেন উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা দীনেশ শর্মা। তার দাবি, এভাবে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িকতার বীজ ছড়াতে চাইছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতার দাবি, ‘সমাজবাদী পার্টির ‘বি-টিম’ হল মিম।’
উল্লেখ্য, কর্নাটকে উদুপি-তে মুসলমান ছাত্রীরা হিজাব পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারবেন না, এই নির্দেশ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এর জের ধরে মুসকান খান তার কলেজে উপস্থিত হলে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা তাকে বাধা দিতে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয়। এর জবাবে মুসকান খান আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিয়ে সাড়া ফেলে দেন।
অন্যদিকে, কর্নাটকের স্কুল-কলেজের সেই আন্দোলন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত মামলা গড়িয়েছে। এই বিতর্কে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী রুবিনা খাতুন। অখিলেশের দলের নেত্রীর দাবি, ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম অঙ্গ মেয়েদের ঘোমটা ও হিজাব। কিন্তু তা নিয়ে যেভাবে রাজনীতি করা হচ্ছে, তা ঘৃণ্য। তার পর এসপি নেত্রীর হুঙ্কার দেন, ‘যে হাত হিজাব ছোঁয়ার চেষ্টা করবে, সে হাত কেটে ফেলা হবে।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা