sliderরাজনীতিশিরোনাম

হাসিনা পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে এবি পার্টির সাত দফা প্রস্তাবনা

ডেস্ক রিপোর্ট: বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার প্রতিদিন দলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ছাত্র জনতার উপর হামলে পড়ছে। আজ এখনো পর্যন্ত ৩২ জনকে হত্যা করার খবর আমরা পেয়েছি। এই গণহত্যা আর চলতে পারেনা। ছাত্র-জনতার বুকে আর একটি গুলিও চালাবেন না বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হুশিয়ার করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার দায়ে আজ এক সংবাদ সম্মেলন করে দলটি। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুল বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন ও সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার ফুয়াদ দেশে চলমান দখলদার, গনহত্যাকারী, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপামর ছাত্র-জনতার যে ঐতিহাসিক সফল গনঅভ্যুত্থান হতে চলেছে, তার প্রেক্ষিতে এবি পার্টির পক্ষ থেকে নিম্ন লিখিত প্রস্তাব জাতির সামনে তুলে ধরেন;

১. শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন স্বৈরাচারী সরকারের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। অনির্বাচিত সংসদ ভেঙে দিয়ে স্বৈরাচারী শাসকের আজ্ঞাবহ রাষ্ট্রপতিকেও পদত্যাগ করতে হবে;

২. ⁠স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় এমন সকল রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শক্রমে অনুর্ধ্ব ২০ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে যার মেয়াদ এক বছরের বেশী হতে পারবে না;

৩. জুলাই গনহত্যা থেকে শুরু করে গত ১৬ বছরে সংগঠিত সকল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের জন্য গ্রহনযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইবুনাল গঠন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে আহত/নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরন এবং/অথবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে আমাদের উন্নয়ন অংশীজন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সাহায্য নিতে হবে। যে সকল ব্যক্তি বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

৪. ⁠তদন্ত সাপেক্ষে গত ১৬ বছরে বিদেশে অর্থ পাচারকারী সকল বাংলাদেশীর ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সকল সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং বিদেশ থেকে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনবার উদ্যোগ নিতে হবে;

৫. ⁠গত ১৭ বছরে দায়ের করা সকল রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আয়নাঘর থেকে শুরু করে গোপন ও প্রকাশ্য বন্দীশালা থেকে সকল রাজবন্দীদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে;

৬. ⁠গত ১৬ বছরে রাষ্ট্রের উন্নয়ন বাজেট হতে বিভিন্ন প্রকল্পে মেগা-লুটপাটকৃত অর্থের হিসাব, ব্যাংক এবং শেয়ারবাজার লুন্ঠনের সাথে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ী ব্যাক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে;

৭. ⁠আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগ সহ প্রজাতন্ত্রের যে সকল কর্মচারী আইন, সংবিধান, শপথ লঙ্ঘন করে অপেশাদার আচরন করেছেন রাগ/বিরাগ/অনুরাগের বশবর্তী হয়ে, তাদেরকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সহকারী সদস্যসচিব এম আমজাদ খান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার ফারুক, আব্দুল হালিম খোকন, গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান ব্যাপারী, মশিউর রহমান মিলু, আমেনা বেগম, রুনা হোসাইন, ফেরদৌসী আক্তার অপি, রিপন মাহমুদ সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button