
এক মাস চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছাড়লেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম।
বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সেখান থেকে মিরপুর সিআরপিতে (পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বা সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড) নেওয়া হয়।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওয়াহিদার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রধান ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালের অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন।
তিনি বলেন, “এক মাস আগে আমাদের এই হাসপাতালে এসেছিলেন ওয়াহিদা। তখন তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন ছিল। তিনি অস্ত্রোপচারে যাওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে অপারেশনের উপযোগী অবস্থায় নিয়ে আসি। তখন তার জ্ঞানের মাত্রা ঠিক ছিল না। পরে স্থিতিশীল অবস্থায় আসেন। প্রথমদিকে শরীরের ডানপাশ একদম নাড়াতে পারছিলেন না। তবে এক সপ্তাহ পর থেকে ডান হাত ও পরে ডান পা নাড়াতে শুরু করেন। গত তিন সপ্তাহে তিনি শরীরের ডান অংশ পুরোটাই নাড়াতে পারছেন ও হাঁটতে পারছেন।”
আরও বলেন, “ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার শতভাগ সফল হয়েছে। তার শারীরিক পরিস্থিতি এখন ভালো। শক্তি ফিরে এসেছে। সামান্য বাকি আছে। সে জন্য সিআরপিতে রেফার করেছি। সেখানে ফিজিওথেরাপি নিলে আশা করি বাকি বলটুকুও ফিরে আসবে। আগামী দুই-এক সপ্তাহে ফুল রিকভার হয়ে যাবেন।”
গত ২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ইউএনওর সরকারি বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে (৭০) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্ত।
বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওয়াহিদাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে আনা হয়। আরও পরে তার বাবাকেও এখানে আনা হয়।
৩ সেপ্টেম্বর রাতে অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয় ওয়াহিদাকে। তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে চার দিন পর তাকে আইসিইউ থেকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়াহিদা খানমকে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়। একই সঙ্গে রংপুরের পীরগঞ্জে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকা তার স্বামী মো. মেজবাউল হোসেনকে ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়। দেশ রূপান্তর