সাভার প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ রফিক-জব্বার হলের ছাদ থেকে পড়ে অমিত কুমার বিশ্বাস নামের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। হলের ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে পাঁচতলা থেকে পড়ে যায় অমিত। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অমিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি খুলনায়। বাবা অজয় কুমার বিশ্বাস বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে কর্মরত। অমিত পরিবারের একমাত্র সন্তান।
জানা গেছে, আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় দুপুরের খাবার খান অমিত। এরপর বন্ধুদের সঙ্গে হলে ফেরেন। বেলা আড়াইটার দিকে বৃষ্টিতে ভেজার জন্য হলের ছাদে যান অমিত।
সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’তে আজ বিকাল সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন, আজ বেলা ২টার দিকে শহীদ রফিক-জব্বার হলের পাঁচতলার ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে যান ওই শিক্ষার্থী। সেখান থেকে পা পিছলে পড়ে জ্ঞান হারান। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয় সেখানেই তিনি মারা যান।
অমিতকে মৃত ঘোষণা করেন এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’র মেডিকেল অফিসার ডা. ইফরান। তিনি বলেন, তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও জাবি’র পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার খান হৃদয় বলেন, আমি তিন তলায় থাকা অবস্থায় ভারী কিছু ছাদ থেকে পড়ার শব্দ শুনি। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে অমিতকে পড়ে থাকতে দেখি এবং সঙ্গে সঙ্গে হলের কিছু ছাত্রদের সহায়তায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে আসি। সেখান থেকে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে ছাদে আর কেউ ছিল কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান জানান, অমিতের পরিবারের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেছেন। তাঁর মা–বাবা রওনা দিয়েছেন। তাঁরা এসে আরিচা ঘাটে থাকবেন। সেখান থেকে অমিতের লাশ নিয়ে তাঁর বাড়ি খুলনায় যাওয়া হবে। অমিতের লাশ সৎকার হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করবে বলে তিনি জানান।