নাসির উদ্দিন, হরিরামপুর প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে চরাঞ্চলের লেছড়াগঞ্জ, আজিমনগর ও সুতালড়ি ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙন রোধে স্থায়ী বেরি বাঁধ দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চরাঞ্চলের লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের গঙ্গাধরদী পদ্মাপাড়ে চরাঞ্চলের জনসাধারণ, বারসিক ও সবুজ সংহতি হরিরামপুরের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গঙ্গাধরদী, হরিহরদিয়া এলাকার দুই শতাধিক বাড়িঘর, সেলিমপুর ও পাটগ্রামের শত শত একর ফসলি জমি, আজিমনগর ও সুতালড়ি এলাকায়ও শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফসলি জমি ও বাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। এ বছর হরিহরদিয়া এলাকার নটাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গঙ্গাধরদী এলাকায় পাঠানকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।
মানববন্ধনে লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের হরিহরদিয়া, গঙ্গাধরদী, সেলিমপুর ও পাটগ্রামে শত শত বিঘা ফসলি জমি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া হরিহরদিয়া ও গঙ্গাধরদী গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এ বছর হরিহরদিয়া এলাকার নটাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গঙ্গাধরদী এলাকায় পাঠানকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এ বছর তিনটি ইউনিয়নের শত শত বিঘা ফসলি জমি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।
সাবেক চেয়ারম্যান আলমাছ মাতব্বর বলেন, অন্তবর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের কাছে স্থায়ী বেরি বাঁধ নির্মানের দাবি জানাই। আমার চরাঞ্চলবাসী ত্রাণ চায়না তারা স্থায়ী বেরি বাঁধ চায়।
লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য গঙ্গাধরদী গ্রামের বাসিন্দা নান্নু প্রামাণিক বলেন, ২ শতাধিক বাড়িঘর এবার পদ্মায় ভাঙছে। তার নিজের বাড়িসহ ২-৩শ বিঘা ফসলি জমিও পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।
মানববন্ধনে লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান আলমাছ মাতব্বর, লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নান্নু প্রামানিক, নটাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, গোলাম মহীউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য জাহিদ হোসেন, মনোয়ারা খাতুন, বাবলু মিয়া, শাহিন মোল্লা, মোতালেব হোসেন ও সাবেক ইউপি সদস্য সদস্য শহিদ মোল্লা, নিজাম উদ্দিনসহ পাঁচ শতাধিক চরাঞ্চলের বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।