হরিরামপুর চরাঞ্চলে কৃষি প্রতিবেশ রক্ষায মতবিনিময়

নাসির উদ্দিন, হরিরামপুর প্রতিনিধি: মনিকগঞ্জ হরিরামপুর উপজেলা লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নে বেসরকারী গবেষণা ধর্মী প্রতিষ্ঠান বারসিক এর আয়োজনে নটাখোলা গ্রামে এরশাদ মুন্সীর বাড়িতে কৃষি জমি রক্ষা, পরিবেশ প্রতিবেশ সুরক্ষা ও নদীভাঙ্গন রোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিয় সভায় সভাপতি করেন, লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহিন মোল্লা।
কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ু নায্যতা ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব অর্জনে শতবাড়ি কৃষক, চরাঞ্চলে বারসিক এর কাজের সাথে সম্পৃক্ত সম্পদ ব্যক্তি ও শতবাড়ি কৃষকদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় আরো অংশগ্রহন করেন এলাকার অন্যান্য কৃষক, শিক্ষক, নারী সংগঠনের প্রতিনিধি, ইউপি সদস্য যুবক সহ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মতবিনিময় সভার চরের নদীভাঙ্গনে আবাদি কমে যাচ্ছে, মানুষ ফসলি জমিতে নতুন নতুন বাড়ি ঘর নির্মান করছে গাছপালা রাস্তা ঘাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ চরের কৃষি প্রতিবেশ ও প্রাণ বৈচিত্র্য কমে যাচ্ছে, এগুলো কিভাবে রক্ষা করা যায়, সে বিষয়গুলো নিয়ে মতবিনিময় সভায় আলোচনায় উঠে আসে।
সভায় আলোচক হিসেবে অংশগ্রহন করেন লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শহিদ মোল্লা, নটাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন, পাটগ্রামচর কৃষক সংগঠনের সভাপতি হাজেরা বেগম নটাখোলা গ্রামের কৃষি প্রতিবেশ শিখন কেন্দ্র কৃষক এরশাদ মুন্সী, নারী নেত্রী আকলিমা বেগম , বারসিক আঞ্চিলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, প্রোগ্রাম অফিসার সত্য রঞ্জন সাহা ও মুকতার হোসেন।
আলোচকগন বলেন ইতিমধ্যে লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের হরিহরদিয়া ও গঙ্গাধরদি এবং পাটগ্রামচরের কিছূ ৩টি ৬০টি পরিবার নদীভাঙ্গনে শিকার হয়। সেই সাথে আবাদী জমি কৃষি ফসল রাস্তাঘাট এবং ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ব বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে নদীভাঙ্গন চলতে থাকলে চরের আরো ৪/৫ টি গ্রাম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নদী ভাঙ্গনরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
মতবিনিময় সভা শেষে শতাধিক কৃষক শিক্ষক শিক্ষার্থী যুবক ইউপি সদস্যসহ চরে নদীভাঙ্গন রোধে মানববন্ধন করেন। চরের নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পুর্নবাসন ক্ষতি পুরুনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচী গ্রহনের সিদ্ধান্ত হয়। মতবিনিময় শেষে কৃষি প্রতিবেশ শিখন কেন্দ্র বিভিন্ন উদ্যোগগুলো দেখেন ও অভিজ্ঞতা শেয়ারিং করেন৷