sliderস্থানিয়

হরিরামপুরে ভূয়া সমন্বয়কারীর বিরুদ্ধে মানবন্ধন করায় মিথ্যা মামলার আসামী- ভুক্তভোগী

মোহাম্মদ আলী, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: হরিরামপুরে ভূয়া এক সমন্বয়কের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগন।উপজেলার মূল ফটক,চা এর দোকান, রাস্তা সহ হসপিটালে পোষ্টার ফ্রেস্টুন টাঙ্গিয়ে রাখা হয়েছে দেখা গেছে।

ভূয়া সমন্বয়কারী পরিচয়ে চাঁদাবাজী,ভয়ভীতি, হুমকি, ভূমি দখল এবং মিথ্যা মামলায় ফাসানোর অভিযোগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে হরিরামপুরবাসী মানববন্ধন হয়েছিলো ৭ সেপ্টেম্বর। এর প্ররিপেক্ষিতে ৩ দিন পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইমদাদুল হক (শাহীন), শামীম হোসেন টিটু এবং শাফিয়া বেগম সহ ৮ জন ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয় মানিকগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ২৫/১০/২৫ এসিআর মামলা -২৬৯(হরঃ) ২০২৫।

উল্লেখিত, ঘরবাড়ি ভাংচুর সহ সোহেল রানার পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ও গুরতর জখম করেছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট যার কোন ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।

এ মামলার স্বাক্ষী মোবারক হোসেন জানান,আমি ঘটনা সম্পর্কে আদৌও কিছু জানি না।
উপজেলা অটোর গেরেজ এর দোকানদার আনোয়ার হোসেন জানান,আমি এমন ঘটনা আদৌও হয়েছে কি জানিনা কিংবা দেখিনি।
ভুক্তভোগী সাফিয়া বেগম জানান,আমি সহ আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা দাবি জানাচ্ছি।

বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং সদস্য ইমদাদুল হক (শাহীন) জানান, সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে। এমনকি উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে চাঁদাবাজির অভিযোগ ও রয়েছে এই সোহেল রানার বিরুদ্ধে।
হরিরামপুরের সাধারণ মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ।

চালা ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রামের বাসিন্দা শামীম হোসেন টিটু জানান,ভূয়া সমন্বয়ক চাঁদাবাজ সোহেল রানা বিরুদ্ধে মানবন্ধন করার ৩ দিন পরেই আমি সহ ৮ জন ভুক্তভোগীর নামে কোর্টে মিথ্যা মামলা করেন।
আমি আদৌও কোন ভাবে বাড়ি ভাংচুর ও আক্রমণের বিষয়ে কোন ভাবে জড়িত না।
মূলত অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাতে আমার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহল রানা মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেন।
আমি প্রশাসনের নজরদারি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

স্থানীয়রা জানান,শান্ত হরিরামপুরকে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি করে নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এই ভূয়া সমন্বয়ক পরিচয়ের সোহেল রানা । তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ সাধারন জনগন।
সূত্রে জানা গেছে, সোহেল রানা উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের হাকিম উদ্দীন (মাস্টার) এর পুত্র।

সোহেল রানাকে এ বিষয়ে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জিজ্ঞেসা করলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button