slider

হরিরামপুরে ইউপি সদস্যকে প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ

জ. ই. আকাশ, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি :
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের টানা দুইবারের নির্বাচিত সাধারণ সদস্য এবং বর্তমান নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মোজাফ্ফর হোসেনকে (৩৯) ইমোতে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সদস্য মো. মোজাফ্ফর হোসেন ইউনিয়নের গোপীনাথপুর ডেগিরচর গ্রামের মো. আইজদ্দিনের ছেলে। এ ব্যাপারে ওই ইউপি সদস্য নিজেই বাদি হয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ (বৃহস্পতিবার) হরিরামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সাধারণ ডায়েরির সূত্রে জানা যায়, গোপীনাথপুর ডেগিরচর গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে হাসান (১৯) ইউপি সদস্য মো. মোজাফ্ফর হোসেনকে অযথা গালিগালাজ করে এবং ঘুষ খেয়ে শালিস বিচার করার অভিযোগ তুলেন। বিষয়টি ওই ইউপি সদস্য গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোল্লা লাভলুকে জানালে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৮ দিকে ডেগিরচর গ্রামের আফজাল বেপারীর বাড়িতে এক শালিসি বৈঠক বসে। ওই শালিসে হাসান নিজের অপরাধ স্বীকার করেন। এবং ভবিষ্যতে এরকম কাজ করবে না এই মর্মে সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। শালিস শেষ করে ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন রাত ১০টার দিকে বাড়ি এসে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমোতে বিছানায় গিয়ে মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে দেখেন, তার ইমোতে রসডটংবরগ ইমো আইডি থেকে মেসেজে লিখেছে, “ভোরে মাইরা ফালামু। তোর মরণ কিন্তু সামনে… বেশি দেরি নাই। যেকোনো সময় তুই মরবি।”
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন জানান, “কে বা কারা আমাকে ইমোতে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোনো সময় আমাকে খুন কিংবা গুম করতে পারে। এ জন্য আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। পাশাপাশি আমার নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সহায়তা কামনা করেছি।”
এ ব্যাপারে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোল্লা লাভলু জানান, “বিষয়টি আমি জেনেছি। মোজাফ্ফরকে প্রাথমিকভাবে সাধারণ ডায়রি করার পরামর্শ দিয়েছি এবং আমি নিজেও চেষ্টা করছি কারা এবং কেনই বা এ ঘটনা ঘটালো।”
হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, ” বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button