slider

হরিপুরে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য‘র অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য সহ মাদ্রাসার জমি লিজ দিয়ে টাকা আত্নাসাতের অভিয়োগ ফুসে উঠেছে ঐ এলাকার জনগন। হরিপুর উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের খামার ঈদগাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসা সুপার তার প্রতিষ্ঠানে এক একটি নিয়োগের বিপরীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঐ এলাকার সাধারন মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অসাধু এই সুপার। অভিযোগ রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষক ইসমাইল হোসেনকে নিয়োগ দিয়ে দীর্ঘদিন চাকরি করার পরেও চাকরি করতে দেওয়া হয়নি তাকে, বরং তাকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটক রেখে জোর করে রিজাইন পত্রে লেখে নেন,মাদ্রাসা সুপার এবং তার ভাই সহকারী শিক্ষক শাহাজান কাজির বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরে আদালতে মামলা করেন ইসমাইল হোসেন চলতে থাকে মামলা। মামলার চলাকালিন এক পর্য়ায়ে মামলা চালাতে ব্যার্থ হয়ে মাদ্রাসা সুপার, কৌশলে চাকরি ফেরত দিতে চান ইসমাইল হোসেন কে। কৌশলে ৭ লক্ষ টাকা নেন তার কাছে, দিনের পর দিন বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও তার পরেও চাকরিতে বহাল হয়নি সহ-শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের । অভিযোগ রয়েছে মাইনুল ইসলাম নামে আরেক ব্যাক্তির নিকট চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা কৌশলে নিয়ে তাকেও চাকরি দেওয়া হয়নি। আতাউর রহমানের কাছে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেয় ১ লক্ষ টাকা এতে চাকরি পায়নি কেউ। এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, ঠাকুরগাঁও’র প্রভাবশালি সাবেক এমপি মাজাহারুল ইসলাম সুজন ছিলেন এই মাদ্রার সভাপতি তার হুকুমে নিজের ইচ্চামত মাদ্রাসা চালাতেন সুপার মামুনুর রশিদ। এলাকার কোন লোক মাদ্রাসার ব্যাপারে কথা বল্লে তাদেরকে মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়, এবং বিভিন্ন ভাবে তাদের হয়রানি করতেন মাদ্রাসা সুপার মামুনুর রশিদ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পেত না, ঐ এলাকার লোকজন। অভিয়োগ রয়েছে মাদ্রাসা সুপার নিয়ম নিতিকে তোয়াক্কা না করে, তার নিজের ইচ্ছে মত চালাতেন মাদ্রাসা, নিয়মিত মাদ্রাসায় আসেন না তিনি। মাদ্রাসার সম্পদের নেই কোন হিসাব নিকাশ, তার বিরুদ্ধে কথা বলার মত সাহস পেতনা অফিস ষ্টাফ সহ ঐ এলাকার লোকজন।

নিয়মিত মাদ্রাসায় আসেন না মাদ্রাসা সুপার, এ ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপারকে একাধিবার মুঠো ফোনে যোগায়োগ করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, মাদ্রাসা সুপার মামুনুর রশিদের সাথে। এ ব্যাপারে খামার ঈদগাহ দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও হরিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো.আরিফুজ্জামান বলেন, আমার কাছে মাদ্রাসা সুপারের ৩ টি অভিযোগ পত্র জমা হয়েছে, ঘটনার সত্যতা পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্হা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button