মোঃ শাহ আলম, দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : নিঃসন্তান,বাড়িও জমিজমা বিহীন বিধবা বৃদ্ধা জামেলা খাতুন বয়স তার একশ ছুঁই ছুঁই। বাড়ি মানিকগঞ্জ দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাশাইল গ্রামের । ঘরবাড়ি, স্বামী ও সন্তান না থাকায় অসহায় এ বৃদ্ধা যমুনা নদীর তীরে ছাপড়া তুলে কোন রকম ভাবে কোন সময় আবার কোন সময় না খেয়ে করুণ অবস্থায় দিনযাপন করছিলেন। হঠাৎ দৌলতপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের এক সদস্য সাংবাদিক আমিনুলের অনুসন্ধানে নিউজ হয় ও ফেসবুকে প্রচার হওয়ায় বিষয়টি জেলা প্রশাসক ড.মানোয়ার হোসেন মোল্লার নজরে আসায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত আহসানুল আলমকে ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। বিষয়টি ইউএনওকে অবগত করায় ছুটে যান দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আহসানুল আলম ।
বৃদ্ধাকে দেখতে গত ০২ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত আহসানুল আলম ও থানা অফিসার ইনচার্জ তৌফিক আজম সহ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শাহ আলমসহ যে সংবাদ কর্মী নিউজ করেছেন তাকে দেখতে যান।
প্রশাসনের লোকজন দেখে বৃদ্ধা জামেলা খুশিতে কান্না শুরু করে এবং ইউএনও ও ওসিকে জড়িয়ে ধরে। এসময় বৃদ্ধাকে তাৎক্ষণিক ৫টি কম্বল, চাউল, ডাউল, তেল, মুরগি ও কাঁচা বাজার সহ নিজস্ব তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা দেন ইউএনও। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বৃদ্ধা জন্য একটি বাড়ি নির্মানের আশ্বাস প্রদান সহ সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাবেন ।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেছেন -নদীর পাড়ে অন্যের জায়গায় একটি জরাজীর্ণ ছাপারা ঘরে বৃদ্ধা জামেলা খাতুন একা অতিকষ্টে দিনপার করছিলেন। তার স্বামী মারা যান অনেক বছর আগে । এদিকে তার নেই কোন সন্তান,একটি সন্তান ছিল সেও মারা যায় । তাকে দেখভাল করার মত কেউ নেই। ভাঙা দরজার সামনে শুয়ে শুয়ে বৃদ্ধা এক পলকে তাঁকিয়ে থাকেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) আহসানুল আলম বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে আমরা খাবার এবং শীত বস্ত্র নিশ্চিত করেছি এবং খুব শীঘ্রই তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে এবং তাঁকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করা হবে।