স্বামীর লাথিতে অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু

সাটুরিয়া সংবাদদাতা : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মালেকা আক্তার নামে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ফেরদৌস মিয়ার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের গোপালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বার মা জীবননেছা সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
জানা গেছে, সাত বছর আগে গোপালপুর গ্রামের জব্বার আলীর মেয়ে মালেকা আক্তারের সাথে একই গ্রামের শহীদের ছেলে ফেরদৌসের বিয়ে হয়। এরমধ্যে মালেকার স্বামী তিল্লিচর এলাকার পিংকি নামে এক মেয়ের সাথে পরকীয়া করে বিয়ে করেন। ফেরদৌস দ্বিতীয় বিয়ের পর প্রথম স্ত্রীকে মারধর করত। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন তিনি। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে আপোষ মীমাংসা করে প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রথম স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করেন।
এদিকে ফেরদৌস সাড়ে চার লাখ টাকা নেয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক না দেয়ায় নিয়ে প্রথম স্ত্রী মালেকার সাথে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হয়। মঙ্গলবার রাতে কথা কাটাকাটি হলে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেটে লাথি ও গলায় মুখে আঘাত করে। একপর্যায়ে মালেকা মারা গেলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে আসে স্বামী। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে লাশ রেখে রাতেই পালিয়ে গেছে ফেরদৌস।
এ প্রসঙ্গে সাটুরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।