sliderরাজনীতিশিরোনাম

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়তে ভারতীয় দালাল বিতাড়িত করতে হবে : নাগরিক মঞ্চ

নাগরিক মঞ্চের উদ্যোগে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং রোজ বুধবার সকাল ১০ টায় ২২/১ তোপখানা রোডস্থ শিশুকল্যাণ পরিষদের কনফারেন্স রুমে “ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ এবং পরাজিত স্বৈরাচার কর্তৃক সকল রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবিতে আলোচনা সভা”র আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, বিজয় ধরে রাখতে হলে সুবিধাবাদী রাজনীতি ছেড়ে দিতে হবে। আন্দোলন—সংগ্রামে যারা জেল—জুলুমের শিকার হয়েছে তারা এখন পিছনের সারিতে। যারা মাঠে আন্দোলন পরিচালনা করেছে তাদের খোঁজখবর রাখুন। কত হাজার কর্মী গুম—খুনের শিকার হয়েছে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। বিজয় অর্জন সহজ হলেও ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন। মুখে বড় বড় কথা বলা যায়। এসি রুমে বসে বক্তৃতাও করা যায় কিন্তু মাঠের অবস্থা সম্পূর্ণ বিপরীত। ভারত বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই বৈরী আচরণ করে আসছে। তাদের আগ্রাসন নতুন কিছু নয়। বিগত স্বৈরাচার ভারতের সাথে ভাগাভাগি করে দেশ পরিচালনা করেছে। আজ সময় এসেছে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করার।

সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী ও দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়তে হলে ভারতীয় দালাল বিতাড়িত করতে হবে। ভারত তোষণ রাজনৈতিক দল চিহ্নিত করে জাতীয় ভাবে বয়কট করে প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ গণমানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। যুগ যুগ ধরে ভারত তোষণ রাজনীতি করে দেশের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ, নীতি—নৈতিকতা, শিক্ষা ব্যবস্থা, মুসলিম কৃষ্টি কালচার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। রাজনীতিবিদদেরকে একটি ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য করতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবেশী দেশের সাথে যে ধরনের পররাষ্ট্রনীতি প্রয়োগের বিধান রয়েছে ততটুকু কার্যকর করতে হবে। ইটের আঘাত আসলে পাটকেল দিয়ে তাৎক্ষণিক জবাব দিতে হবে। বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে সীমান্ত, আকাশপথ, স্থলপথ উন্মুক্ত করে দিয়ে দেশের স্বার্থ, জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভাগাভাগি করে লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে তলা বিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে।

দেশ রক্ষা আন্দোলনের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সানোয়ার হোসেন বলেন, ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করে পাঠ্যপুস্তকে ২০২৪ এর বিজয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রতিবেশী দেশ ভারত আমাদের সাথে দুষ্ট বন্ধুর আচরণ করে। বর্ষা মৌসুমে পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। অনরূপ শুষ্ক মৌসুমে পানি না দিয়ে খরায় পুড়ে মারছে। এ আচরণ জনগণ আর মেনে নেবে না।

আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন নাগরিক মঞ্চের উপদেষ্টা কর্নেল (অবঃ) ফরিদুল আকবর, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ৯০’র গণআন্দোলনের ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান খান আসাদ, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান ও নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ মাসুদ হোসেন, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক বাজলুর রহমান আমিনী, ইসলামী সমাজতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, গ্রীন পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খান ও মহাসচিব মশিউর রহমান, ক্যাপ্টেন আইনুল হক, বাংলাদেশ সেবা পার্টির চেয়ারম্যান ডা. আবু তোহা সহ নাগরিক মঞ্চের অন্তর্ভুক্ত রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button