স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি : স্বরূপকাঠীর সোহাগদল গ্রামের পরীর বাজার এলাকায় প্রতারণার আশ্রয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে বিয়ের নাটক সাজিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তথ্যমতে জানা যায়, সোহাগদলের পরীর বাজার এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে উজ্জল(২৬) এবং একই এলাকার সোহারব মিয়ার ছেলে রাব্বি(১৮) তারা বেশ কিছুদিন ধরে বলদিয়া ইউনিয়নের এক কিশোরীকে রাব্বির চাচা শাহজাহান মিয়ার খালি ঘরে রাতভর ধর্ষণ করে।
এব্যাপারে স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য(৭’৮’৯ নং ওয়ার্ড) লিপি বলেন, বলদিয়া গ্রামের ওই মেয়ে ও তার বাবা রাব্বির ঘরে সোহানের স্ত্রী পরিচয়ে আসেন। পরে রাব্বিকে সে সোহান নামেই জানে বলে জানান। তাদের বিয়ের কথা বলে ওই কিশোরীর ছবিসহ কাগজপত্র নিয়ে বরিশালে কোর্ট ম্যারেজ করা হয়েছে বলে দাবী ছিল তাদের কিন্তু কোন প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি। পরে বিয়ের প্রমাণক নিয়ে আশার জন্য তাদের বলা হয়। পুলিশ উজ্জলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে উজ্জল সোহান পরিচয়ে ওই কিশোরীর সাথে মোবাইলে কথা বলেছে বলে জানান এবং রাব্বির সাথে একঘরে রাত্রীযাপন করার কথা স্বীকার করেন তবে রাব্বি ওই কিশোরীর সাথে রাত্রীযাপনের কথা অস্বীকার করে।
এব্যপারে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী জানায়, রাব্বি তাদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকতো সেখান থেকে পরিচয়।উজ্জ্বলের সহযোগিতায় সম্পর্ক হয়। পরে উজ্জল ও রাব্বি কিশোরিকে নিয়ে বরিশাল যায়। সেখানে একটি সাদা কাগজে সাক্ষর নেয় এবং বলে তোদের বিয়ে হয়ে গেছে। তখন রাব্বি কিশোরীকে নিয়ে বাড়ি চলে আসে।এর কিছু দিন পরে কিশোরী নানা বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে রাব্বি ও উজ্জের সাথে অটোরিকশা করে শাজাহান মিয়ার ঘরে নিয়ে যায়। রাব্বি ও উজ্জল ওই কিশোরীকে নিয়ে রাত্রীযাপন করে।পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উজ্জল ও তার স্ত্রী পালিয়ে শ্বশুর বাড়ি গেলে সেখানে তাদের আটক করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন সেখানে তখন কয়েজন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলো।
উজ্জলের স্ত্রী জানান, মোবাইলে কল দিয়ে কিশোরীর বাবাকে ঘর থেকে মেয়ে এক সপ্তাহের জন্য কোথাও সরিয়ে দিতে বলে তার কাছ থেকে সাংবাদিকরা বিশ হাজার টাকা নিয়েছে তোমাদের ওখানে গেলে পঞ্চাশ হাজার টাকার নিচে হবেনা জানান উজ্জলের স্ত্রী।
এব্যপারে রাব্বির ও উজ্জল একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারপ করে বলে, ওই মেয়ের সাথে উজ্জল রাত্রীযাপন করেছে সে নির্দোষ। আবার উজ্জলের দাবী, রাব্বি ওই মেয়েকে নিয়ে রাত্রীযাপন করেছে। সে শুধু পাহাড়া দিয়েছে।