সৌদি আরবে বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে সৌদি আরব। ছয় বছর পর এই নিষেধাজ্ঞার তুলে নেয়ার পাশাপাশি নতুন করে যেকোনো ক্যাটাগরির শ্রমিক নেয়ার কথাও জানিয়েছে দেশটি।
সৌদি শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় গত বুধবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ছয় বছর ধরে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। এর আগে বাংলাদেশ থেকে কেবল গৃহকর্মী হিসাবে সৌদিতে জনশক্তি রফতানি করা যেত।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সব ধরনের শ্রমিকের জন্যই সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আর রইলো না। ফলে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক, চিকিৎসক, নার্স ও নির্মাণ শ্রমিকসহ ৪৮ ক্যাটাগরির শ্রমিক সৌদি আরবে যাতে পারবে।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহকে উদ্ধৃত করে আরব নিউজের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য এটি একটি সুসংবাদ। গত জুনে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার সফল বৈঠকের ফল এটি।
তিনি বলেন, জুন থেকে পুরুষ গৃহকর্মীদের জন্য ভিসা দেয়া শুরু হয়েছে। নিয়মিত সৌদি আরবে যাওয়া বাংলাদেশীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গড়ে প্রতি মাসে ছয় হাজার নারী শ্রমিক সৌদি আরবে যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, গত জানুয়ারিতে সৌদি আরবের শ্রমমন্ত্রী মুফরেজ আল হাকাবানি ও বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বাংলাদেশী মহিলা গৃহকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। তারা অভিবাসন বিষয়ক খরচ কমানো, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ ও পারস্পরিক সুযোগ সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে পুরুষ শ্রমিক নিয়োগের ওপর জোর দেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সৌদি আরবে ১৩ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক আছেন। এর মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার হলেন নারী গৃহকর্মী।