সৌদি আরবে নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো বৈষম্য নেই : সৌদি ক্রাউন প্রিন্স

সৌদি আরবে নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো বৈষম্য নেই, সবাই সমান অধিকার ভোগ করেন বলে জানিয়েছেন দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। গত রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিন সালমানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল নারীরা কি পুরুষের সমান? জবাবে তিনি বলেন, পুরোপুরি। আমরা সবাই মানুষ এবং এখানে কোনো পার্থক্য নেই।
ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিন সালমান দেশটির রীতিনীতি ও সামাজিক সংস্কারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি দেশটিকে তেল নির্ভরতা থেকে মুক্ত করতে বেসরকারি খাতকে প্রসারিত করছেন এবং নারীদের ক্ষমতায়ন করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। সংস্কারের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে সৌদি নারীরা গাড়ি চালানো ও স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার অনুমতি পেয়েছেন। সেখানে চলচ্চিত্র প্রদর্শনও শুরু হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ জানিয়েছেন, সরকার নারীদের জন্য সমান মজুরি নিশ্চিত করতে নিয়ম জারি করার জন্য কাজ করছে। বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য সমালোচনার বিষয়ে সালমান বলেন, আমার ব্যক্তিগত খরচের কথা যদি বলেন তাহলে বলব আমি একজন ধনী মানুষ, গরিব নই। আমি গান্ধী বা ম্যান্ডেলা নই। গতকাল রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছেনে বিন সালমান। সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করবেন তিনি।
ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করবেন যুবরাজ সৌদি আরবের যুবরাজ মোহম্মদ বিন সালমান মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। অভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান হবে তাদের বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয়। তবে এর ফাঁকে ৩২ বছর বয়সী এ যুবরাজ সৌদি আরবের সামাজিক পরিবর্তন, ইয়েমেন যুদ্ধ ও কাতারের সাথে চলমান কূটনৈতিক টানাপড়েনসহ বৈদেশিকনীতি নিয়েও আলোচনা করবেন।
রোববার সিবিএস নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সালমান সৌদি আরবের বর্তমান সরকারের বিভিন্ন নীতির কথা তুলে ধরেন। প্রিন্স সালমান সৌদি আরবে নারী অধিকারসংক্রান্ত অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এসব সংস্কারের মধ্যে রয়েছে নারীদের পোশাক পরিধানের বাধ্যবাধকতা কিছুটা শিথিল করা, নারীদের আরো অধিকহারে অর্থনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত করা এবং সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হচ্ছে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া। নিউ ইয়র্ক টাইমস।