সোনাইমুড়ীতে পুলিশের বিরুদ্ধে গভীর রাতে বসতঘর ভাংচুরের অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গভীর রাতে বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
বুধবার গভীর রাতে উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের পোরকরা গ্রামের নুরুল ইসলাম ব্যাপারী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ীক কাজে ঘরের প্রধান নিজামুদ্দিন বেনাপোল অবস্থান করছিল। ঘরে বৃদ্ধা মা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও একমাত্র ভাগ্নি। পুরুষ বলতে কেউ নেই, রাত তখন দুইটা বাজে, ঘরের সামনে পুলিশ অবস্থান করছে এবং দরজা খুলতে বলছে। ভেতর থেকে আওয়াজ আসছে ঘরে কোন পুরুষ নেই, আমরা তিনজন মহিলা, আপনারা সকালে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরেই বিকট শব্দের মাধ্যমে গেটের তালা ভাঙ্গা হয়। সোনাইমুড়ী থানার তদন্ত ওসি জিসান আহমেদ’র নেতৃত্বে এসআই উজ্জলসহ ৫ জন পুলিশ ঘরের ভিতরে গিয়ে জাবেদ কোথায় বলেই বেডরুমে ঢুকে ঘরের দরজা এবং আলমিরা ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় তন্দ্রাচ্ছন্ন বৃদ্ধ মা ছেলে নিজাম উদ্দিনকে কল দিতে গেলে পুলিশ তার হাত থেকে মোবাইল ফোনটি নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে।
নিজাম উদ্দিনের ভাগ্নি জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, রাত দুইটার দিকে সোনাইমুড়ি থানার তদন্ত ওসি জিসান আহমেদ ও উজ্জল চন্দ্রসহ ৫ জন পুলিশ গেটের তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করেতে থাকে। এসময় কেন এসব করা হচ্ছে জিজ্ঞেস করলে? পুলিশ আমার নানু, মামি ও আমাকে বিশ্রী ভাষায় গালাগাল করে এবং পরের দিন মহিলা পুলিশ দিয়ে পেটাতে পেটাতে থানায় নেবে বলেও হুমকি দেন।
সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদ জানান, জাবেদ একটি হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি। তার পরিবার তাকে বাঁচাতে পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছে।
এ বিষয়ে থানার সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানান, একটি মামলার তদন্তের জন্য পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। দুই ঘন্টা ঘরের সামনে দাড়িয়ে থেকেও কোন সাড়া না পেয়ে তালা ভেঙে পুলিশ ভিতরে প্রবেশ করে।