sliderউপমহাদেশশিরোনাম

সুপারপাওয়ার হতে ধাক্কা ভারতের!

সুপারপাওয়ার হওয়ার দৌড়ে বড় ধাক্কা খেতে পারে ভারত। কারণ, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল(ক্যাগ)-এর সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট অনুযায়ী, আরো দীর্ঘায়িত হতে পারে বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর অন্তর্ভুক্তি। কারণ, ২০২৩ সালের আগে সম্পূর্ণ হবে না জাহাজের নির্মাণপর্ব।
মঙ্গলবারই পার্লামেন্টে প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করেছে ক্যাগ। সেখানে বলা হয়েছে, ৪৪,৫৭০ টনের ‘আইএনএস বিক্রমাদিত্য’-কে আগামী ছয়-সাত বছর ধরে একাই দেশের দুই উপকূলের রক্ষা করতে হবে।
কারণ, কোচির বন্দরে নির্মীয়মাণ ৪০ হাজার টনের আইএনএস বিক্রান্তকে ২০২৩ সালের আগে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি করা সম্ভব নয়। বক্তব্যের স্বপক্ষে তারা কোচি শিপইয়ার্ডের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করেছে। বলা হয়েছে, ভুল পরিকল্পনা এবং জাহাজ-নির্মাণে অহেতুক বিলম্ব হওয়াই এর জন্য দায়ী।
দীর্ঘদিন ধরেই তিনটি বিমানবাহী রণতরীকে একসঙ্গে বাহিনীতে রাখার ভাবনা রয়েছে ভারতের। নৌবাহিনীর আশা, দুটি রণতরী দেশের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের দায়িত্বে থাকবে। একটি থাকবে ‘ব্যাক আপ’ হিসেবে। ক্যাগের এই রিপোর্ট সেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় জোর ধাক্কা দেবে বলে মনে করছে ওয়কিবহাল মহল।
শুধু বিমানবাহী রণতরীই নয়, যুদ্ধবিমান নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে, বিক্রমাদিত্য-বিক্রান্তের জন্য যে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রুশ-নির্মিত ‘মিগ-২৯কে’ যুদ্ধবিমানের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তাতে অনেক গাফিলতি রয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই বিমানের এয়ারফ্রেম (বিমানের মূল কাঠামো), ইঞ্জিন এবং ফ্লাই-বাই-ওয়্যার সিস্টেমে গলদ রয়েছে। ক্যাগের মতে, ওই বিমানের কার্যকরী গুণ খুব উন্নতমানের নয়। যদিও, নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সব দাবি খারিজ করা হয়েছে। তারা নিশ্চিত, ২০১৮-১৯ সালের মধ্যেই বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হবে ‘আইএনএস বিক্রমাদিত্য’।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button