sliderরাজনীতিশিরোনাম

সীমান্ত হত্যা ও আওয়ামী ক্যাডারদের নির্বিচার ধর্ষণ ও লুটপাটের প্রতিবাদে এবি পার্টির বিক্ষোভ

পতাকা ডেস্ক: ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে লাগাতার বাংলাদেশের নাগরিক হত্যায় ডামি সরকারের মৌন অবস্থান এবং দেশব্যাপী আওয়ামী ক্যাডারদের নির্বিচার ধর্ষণ ও লুটপাটের প্রতিবাদে আজ রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
বিকেল সাড়ে তিনটায় বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে দলের নেতারা বলেন, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে প্রায় একই সময় বাংলাদেশের নাগরিক নিহত হয়েছে কিন্তু সরকার নির্বিকার। সীমান্তবর্তী জনগণের নিরাপত্তায় বিজিবি’র কোন কার্যকর ভূমিকা নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জ্ঞানের পাদপীঠে গণধর্ষণ হচ্ছে পুলিশ বা প্রশাসন সাক্ষী গোপাল হয়ে আছে! পুলিশ-বিজিবি’র অ্যাকশন শুধু বিরোধী দল দমনের জন্য। বাকশাল-টু এর প্রভাবে একমাসের মাথায় নতুন মাত্রায় ধর্ষণ ও লুটপাটের বিস্তার লাভ করেছে বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অবৈধভাবে ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের কারণে জনগণের প্রতি সরকারের জবাবদিহিতার কোন দায় নাই। তার সব দায় বিদেশী প্রভূদের কাছে সেজন্য সরকারের পররাষ্ট্রনীতি পুরোটাই নতজানুতার নীতিতে আচ্ছন্ন।
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু’র নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি বিজয় নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, হাদিউজ্জামান খোকন, নারী নেত্রী সুলতানা রাজিয়া সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।


মেজর অব. মিনার বলেন, এই আওয়ামীলীগ বাকশাল কায়েম করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর বিপরীতে রক্ষীবাহিনী তৈরি করেছিলো। আজ আবার আওয়ামীলীগ একই কায়দায় দ্বিতীয় বাকশাল কায়েম করতে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আজ আমার বিজিবির ভাই মারা যাচ্ছে বিএসএফের গুলিতে। মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর হামলায় নিহত হচ্ছে আমার দেশের জনগণ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও বিজিবির সক্ষমতা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আমরা এই সমস্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। প্রয়োজনে জনগণ আবার জীবন দিবে কিন্তু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কোন লুটেরাদের হাতে বিকিয়ে দেয়া হবেনা।

সমাবেশে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সরকারী দলের নেতা-কর্মীদের দ্বারা অবাধ ধর্ষণ ও লুটপাট ছিল বাকশালী শাসনের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর তা নতুন মাত্রা লাভ করেছে। এই দূঃশাসন থেকে মুক্তি লাভের একটাই উপায় তা হলো, সর্বাত্মক ঐক্য ও সংগ্রাম। তিনি বলেন সময় এসেছে এখন দল মতের উর্দ্ধে উঠে প্রত্যেক নাগরিককে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার। কে শোষকের পক্ষে আর কে শোষিতের পক্ষে তা চিহ্নিত হয়ে গেলে লড়াইটা সহজ হয়ে যাবে। শোষক আর শোষিতের লড়াইয়ে শোষিতের বিজয় সুনিশ্চিত বলে তিনি প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, অনির্বাচিত সরকার একটা দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। জনগনের সম্মতি ব্যতীত দেশকে শোষন আর নির্যাতন করা যায় কিন্তু স্বার্থ রক্ষা করা যায় না। তাই প্রতিনিয়ত ভারত এবং মিয়ানমার সীমান্তে আমাদের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হলেও এই অবৈধ বাকশালী সরকার কিছুই করতে পারছে না। বার বার আমাদের আকাশ সীমা লঙ্ঘিত হবার পরেও, সীমান্তে হত্যা ও গুম চালু থাকলেও এই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি মাথা তুলে তার প্রতিবাদ করতে পারছে না। দেশ ও জাতির আত্মমর্যাদাকে বিসর্জন দিয়ে প্রতিনিয়ত বিদেশী প্রভুদের নির্দেশনা শোনাটাই আওয়ামী দখলদারদের একমাত্র কাজে পরিনত হয়েছে। নিন্দা এবং প্রতিবাদ এখন আর যথার্থ নয়; বরং সকলে মিলে জাতীয় শত্রু-মিত্র নির্ণয় করে লড়াই, সংগ্রাম জারী রাখাটা এখন সময়ের দাবি।

বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আব্দুর রহমান, মাসুদ জমাদ্দার রানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, আহমেদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, মশিউর রহমান মিলু, আমেনা বেগম, আব্দুর রব জামিল,গাজী সাবের, ফেরদৌসী আক্তার অপি, রুনা হোসাইন, রিপন মাহমুদ, শরণ চৌধুরী, হাসান মাহমুদ শাহীন, পল্টন থানার আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button