স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এর সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সিরাজুল আলম খান জাতি-রাষ্ট্র নির্মাণে একদিকে যেমন রূপকার ও প্রধান কারিগর ছিলেন, তেমনি জাতীয়তাবাদ বিকাশের পথ প্রদর্শক হিসেবেও ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের নতুন ভিত্তি স্থাপন করে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে। তাঁর অংশীদারিত্বের গণতন্ত্রই স্বৈরাচার, দলতন্ত্র এবং ফ্যাসিবাদের ভিত্তিমূলে আঘাত হেনে নতুন এক অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠিত করবে।
তিনি বলেন, সিরাজুল আলম খানের ‘১৪ দফা খ্যাত নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা’ ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত। ভবিষ্যতে যেকোনো ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিরোধে ইহা সুস্পষ্ট রূপরেখা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিরাজুল আলম আলম খান সেন্টার ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান রায়হানুল ইসলাম।
সভায় বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রচিন্তক গবেষক সলিমুল্লাহ খান, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বিএনপি নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাখাওয়াত হোসেন টুটুল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ব্যক্তিত্বগণ।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, ফ্যাসিবাদ আবার নির্লজ্জভাবে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে। কিন্তু জনগণ তা মেনে নেবে না। তিনি আরো বলেন,সিরাজুল আলম খান সেন্টার ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট সম্পর্কে বলেন, এই কেন্দ্র একদিন আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
সভায় শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ১৪ দফার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার একটি নতুন কাঠামো তৈরির দিকনির্শেনা রয়েছে এতে। পাশাপাশি, সাংবিধানিক এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার বিষয়টিও এতে অগ্রাধিকার পেয়েছে। এই কর্মসূচি শুধু স্বাধীনতার আদর্শের সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এটি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষারও মূর্ত প্রতিফলন।
সাখাওয়াত হোসেন টুটুল বলেন, ১৪ দফা স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি—সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। তার দর্শন শুধু অতীতের ঐতিহাসিক চেতনা নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি কার্যকর ও সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করবে।
সিরাজুল আলম খান সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতি রায়হানুল ইসলাম বলেন এই সেন্টার সকল ধরনের জ্ঞান চর্চা, অর্থনীতি, কৃষ্টি, শিক্ষা, সাহিত্য, মানবিক ও পরিবেশ এর উপর আলোচনা, সেমিনার করবে।
তিনি বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ও বাঙ্গালি জাতির ইতিহাস নিয়ে গবেষণামূলক কাজ করবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি