sliderস্থানীয়

সিংগাইর ও নবাবগঞ্জে একরাতে পাশাপাশি দুই বাড়িতে ডাকাতি

সিরাজুল ইসলাম, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ): মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামশা ইউনিয়নের দক্ষিণ জামশা ও পাশ্ববর্তী ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের ভূরাখালী গ্রামে একই রাতে পাশাপাশি দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে সংঘবদ্ধ মুখোশধারী ডাকাত দল নগদ টাকা ও স্বর্ণা লংকারসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে।
শনিবার (২৬ মার্চ) দিবাগত গভীর রাত ১ টার দিকে এ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে কেউ ডাকাতদের হাতে মারধরের শিকার হননি বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে.রাত ১ টার দিকে দক্ষিণ জামশা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী শুকুম আলীর বাড়িতে সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে দরজা ভেঙ্গে মুখোশধারী ডাকাতদল ঘরে ঢুকে। এর পর প্রবাসীর স্ত্রী রওশনারা ও তার নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া পুত্র অন্তরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সুকেসের তালা খুলে ২ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন,১ জোড়া কানের দুল,২ জোড়া রুপার দুল, ২ টি মোবাইল সেট, নগদ ৩ হাজার ২০০ টাকাসহ জামাকাপড় লুটকরে নিয়ে যায়। এর ঘন্টা খানেক পর পার্শ্ব বর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার ভূরাখালী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক অমিত লাল মন্ডলের বাড়িতে ডাকাত দল হানা দেয়। গৃহকর্তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫টি স্বর্ণের চেইন, ৫টি লকেট, ৬ টি স্বর্নের আংটি, একজোড়া স্বর্ণের শাঁখা, ১টি স্বর্ণের আইসতি, ১টি মোবাইল সেট ও নগদ ৪০ হাজার টাকা লুট করে। ডাকাতির শিকার পরিবারের সাথে কথাব লেজানা গেছে, সংঘবদ্ধ ডাকাতদল দুইপরিবার থেকে সব মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। এ ঘটনায় সিংগাইর ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জামশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী কামরুজ্জামান জানান, ডাকাতির ঘটনা খুবই দুঃখজনক। বিগতদিনে জামশা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেনি। ভবিষ্যতে ডাকাতির ঘটনা যাতে না ঘটে আমরা সে ব্যাপারে সজাগ থাকবো ।
নবাবগঞ্জ থানার এসআই মুত্যুঞ্জয় বলেন, লুটহওয়া টাকা ও মালামালের সঠিক পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি মো.সফিকুল ইসলাম মোল্যাকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আবু হানিফ বলেন, আমাদের থানা এলাকার ঘটনাটি ডাকাতি নয়, চুরি।
উল্লেখ্য , গত ৭ মার্চ জামশা বাজারের পশ্চিম পাশে মোহাম্মদ আলীর বাড়িতেও ডাকাতি ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির ঘটনা রেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত এলাকা বাসী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button