সিরাজুল ইসলাম,সিংগাইর (মানিকগঞ্জ): মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার রেশ না কাটতেই এবার স্কুলের ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম স্থাপনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে ইউপি সচিব সেলিমের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সচিব সেলিম মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নে কর্মরত।
জানা গেছে, গোলাইডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম স্থাপনে ২০২২-২৩ অর্থবছরে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর আয় ১% হতে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে ইউপি সচিব সেলিম আহমেদের বিরুদ্ধে নয়-ছয়ের অভিযোগ ওঠে। ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগেই আমার কাছ থেকে ওই ইউপি সচিব ৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। সরকারি বরাদ্দের ১ লাখ টাকার মধ্যে ১ কয়েল তার, কর্ডলেস সেট ১টি, ১৬০ ওয়াটের মাইক সেট ১টি ও ৫টি সাউন্ডবক্স ক্রয় করে দেন। এতে খরচ হয় ৬১ হাজার টাকা। বাকি টাকা সচিব আত্মসাত করেন। প্রধান শিক্ষক আরো জানান, এ প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি জানতে চাইলে ওই সচিব আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এর আগে ওই সচিব ও এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।
১% বরাদ্দে শ্রেনী কক্ষে ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম স্থাপন প্রকল্পের সভাপতি আলমগীর হোসাইন বলেন, আমাকে শুধু সভাপতি বানিয়েই রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
বলধারা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো.সেলিম হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।