
সিরাজুল ইসলাম, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) : আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপ মমতাজ বেগম এমপি ও আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু গ্রুপের কোন্দল ক্রমশ চরম আকার ধারণ করছে। একটি ওয়াজ মাহফিলে টুলুকে প্রধান অতিথি করায় মমতাজ গ্রুপের আপত্তির মুখে পড়েন মাদরাসার মুহতামিম।
এতে ওয়াজ মাহফিলের আগের দিন শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চরনয়াডাঙ্গী-কিটিংচর জমিরিয়া সিদ্দিকিয়া হায়েত আলী মাদরাসা ও এতিমখানার মুহতামিম আলহাজ¦ হাফেজ মাওঃ মুফতী মহিউদ্দিন কাসেমীকে (৪৩) থানা পুলিশ তার বাড়ি উপজেলার দেওলী থেকে আটক করে থানায় আনেন। টানা ১৪ ঘন্টা আটক রাখার পর রোববার দুপুরে মুচলেকায় থানা থেকে ছাড়া পান তিনি।
ভুক্তভোগী মুহতামিম জয়মন্টপ ইউনিয়নের দেওলী গ্রামের মৃত আজু খাঁর পুত্র ও ৬ সন্তানের জনক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে থানার এসআই কামরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আমার বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে আটক করেন। দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুকে ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি করায় এমপি মমতাজ গ্রুপ ক্ষুব্ধ হন। যে কারণে তিনি এমন পরিস্থিতির শিকার হন বলেও জানান । মুহতামিমের চাচাতো ভাই উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম বলেন, আমি মুচলেকায় স্বাক্ষর করে ভাইকে থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। তবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও তিনি জানান।
মাদরাসা কমিটির সভাপতি আইয়ূব কাজী বলেন, ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি করা নিয়ে আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্বে এমন ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সায়েদুল ইসলাম তার ফেসবুকে ‘‘চরনয়াডাঙ্গী কিটিংচর জামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল নিয়ে মরণ যন্ত্রণা শুরু হয়েছে’’ উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেন। এ প্রসঙ্গে আরেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও জয়মন্টপ ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।
সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, ওয়াজ মাহফিল নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে আইন শৃংখলা অবনতি হওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল। যে জন্য মুহতামিমকে থানা আনা হয়েছিল। পরবর্তীতে সমঝোতা হওয়ায় মুচলেকার মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।