sliderস্থানীয়

সিংগাইরে গর্ভবতী মায়ের কার্ড বাবদ উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ

সিরাজুল ইসলাম,সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) : মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বায়রা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের (বাইমাইল) পরিদর্শিকা (এফডব্লিওভি) কমলা রানী সরকারের বিরুদ্ধে গর্ভবতী মায়েদের কাছ থেকে কার্ড বাবদ উৎকোচ গ্রহনের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বায়রা ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ভুক্তভোগী লিমা (২২) বাদী হয়ে সিংগাইর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে প্রকাশ, ভুক্তভোগী ৪ মাসের অন্তঃস্বত্তা লিমা আক্তার সোমবার (৭ আগস্ট) কার্ড করতে বায়রা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে যান। সেখানে কর্তব্যরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা কমলা রানী সরকার গর্ভবতী মায়ের কার্ড সরবরাহ বাবদ নিয়ম বর্হিভূতভাবে ২০০ টাকা দাবী করেন। লিমা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে প্রতিবাদ করেন এবং স্থানীয় সংবাদকর্মীদের অবগত করতে চাইলে কমলা রানী ক্ষিপ্ত হয়ে অসদাচরণ করেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা ও একাধিকবার অনুরোধ করেও কার্ড মেলেনি তার। উপায়ন্তরহীন অবস্থায় অন্তঃস্বত্তা লিমা বিষযটি পাশর্^বর্তী স্বাস্থ্য বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট কমল চন্দ্র সরকারকে অবহিত করেন। তিনিও পরিদর্শিকাকে টাকা গ্রহন না করে ফ্রি সেবা দিতে অনুরোধ করেন। কমলা রানী ফার্মাসিস্টের কথা উপেক্ষা করলে ভিকটিমকে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েই কার্ডটি সংগ্রহ করতে হয়। যার নম্বর ১৮২। গর্ভবতী মায়েদের কাছ এমনিভাবে সরকারি ফ্রি সেবার বিপরীতে কার্ড বাবদ টাকা গ্রহন স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। প্রায় ১২ বছর ধরে একই স্টেশনে থাকা কমলা রানীর অসদাচরণ, অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় সেবা গ্রহিতারা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছেন। ইতিপূর্বেও পরিদর্শিকা কমলা রানীর বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দকৃত জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ গোপনে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের বিষযটি এলাকাবাসী জ্ঞাত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অভিযুক্ত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা কমলা রানী সরকার বলেন, গর্ভবতী মায়েরা কার্ড নিতে আমাকে খুশিতে সকলেই ২০০ টাকা করে দেয়। এছাড়া ইতিপূর্বে জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ বিক্রির কথাও স্বীকার করেন তিনি।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবিএম শাহিনুজ্জামান বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে চিঠি ইস্যুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকারি সার্ভিসে কোনো টাকা পয়সা নেয়া ও অসদাচরণের সুযোগ নেই। এটা গর্হিত কাজ।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button