সিরাজুল ইসলাম, সিংগাইর,মানিকগঞ্জ : প্রচুর প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ জাতীয় ফল কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে। বৃহৎ কোন বাগান না থাকলেও প্রায় প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে এক বা একাধিক কাঁঠাল গাছ। এছাড়া অভ্যন্তরীন সড়কগুলোর দু’পাশেও রয়েছে কাঁঠাল গাছ। অনুকূল আবহাওয়ায় চলতি বছর এসব গাছে প্রচুর পরিমাণ কাঁঠাল ধরেছে। যা পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বারতি আয়ের পথও করে দিয়েছে।
ইতিমধ্যে স্হানীয় হাট-বাজারগুলোতে কাঁঠালের বেচা-কেনা জমে ওঠেছে। কাঁঠালের বিচি ভর্তা ও সবজি হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়।
কাঁঠাল বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকার আদিম ফল। এ ছাড়া মিয়ানমার, মালায় ও ব্রাজিলে কাঁঠাল জন্মে। গ্রীষ্মকালীন ফল কাঁঠাল ঢাকা,গাজীপুর, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও চট্টগ্রামে প্রচুর জন্মে। সম্প্রতি মানিকগঞ্জে এর চাষ বেড়েছে।
শনিবার (২২ জুন) কথা হয় চান্দহর ইউনিয়নের ওয়াইজনগর গ্রামের বৃদ্ধা জরিনা খাতুনের সঙ্গে। তিনি জানান, ২০-২৫ বছর আগে এ এলাকায় বর্ষাকালে অনেক পানি হতো। পানিতে কাঁঠাল গাছ মরে যেতো। ওই সময়ে সাভার-গাজীপুর এলাকা থেকে নৌকা ভরে কাঁঠাল আসতো। ২০০৪ এর বন্যার পর থেকে সিংগাইরে তেমন পানি না হওয়ায় প্রচুর কাঁঠাল গাছ হয়েছে। তিনি আরও জানান গত বছর তার ১২টি গাছে শতাধিক কাঁঠাল ধরেছিল। এ বছর প্রায় ৩’শ কাঁঠাল ধরেছে। নিজেরা খাওয়ার পরও কয়েক হাজার টাকার কাঁঠাল বিক্রি করতে পারবেন বলেও তিনি জানান।
কাঁঠালের পুষ্টিগুন সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.সোহেল বাবু বলেন,কাঁঠালে বিটা ক্যারোটিন,ভিটামিন-এ,সি, বি-১,বি-২, পটাশিয়াম,সোডিয়াম,ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়, ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। পাইলস ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং সোডিয়াম ও পটাশিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ঠিক রাখে। সেই সাথে হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, মানসিক চাপ কমায় এবং বলি রেখা দুর করে।