
পতাকা ডেস্ক : সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ১২৫০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে পোশাক শ্রমিকদের ১১ শ্রমিক ফেডারেশনের জোট ‘মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন’।
পোশাক শ্রমিক ও মালিকপক্ষের ছয় দফা বৈঠক শেষে মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এটা ঘোষণা করছি। ন্যূনতম মজুরি ৫৬.২৫ শতাংশ বাড়বে। আট হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা হবে। সঙ্গে বছরে পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট থাকবে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে পল্টনের তোপখানা রোডে মজুরি বোর্ডের সামনে বিক্ষোভ করে সদ্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরির ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৫ হাজার টাকার মজুরির দাবি পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জোটের নেতারা। জোটের সবগুলো ফেডারেশনের নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভে ‘মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনে’র সমন্বয়ক তাসলিমা আখতার বলেন, ‘মজুরি বোর্ড যে প্রহসনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে তা দেশের ৪০ লাখ শ্রমিক প্রত্যাখ্যান করেছে। শ্রমিকেরা কখনোই ১২ হাজার ৫০০ টাকার প্রস্তাব মেনে নেবে না। মালিকপক্ষ ও সরকার কখনোই শ্রমিকদের মানুষ মনে করে না। আগামী শুক্রবার আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি আহ্বান করেছি। সেখান থেকে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ মজুরি অপ্রতুল। ১২ হাজার ৫০০ টাকায় এখন কোনোভাবেই একজন শ্রমিকের জীবন চলবে না। এই মজুরি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী, শ্রমমন্ত্রী, মজুরি বোর্ডের প্রতি আমাদের আহ্বান এই মজুরি পরিবর্তন করে শ্রমিকদের বাঁচার মতো মজুরি নির্ধারণ করুন।’
মঙ্গলাবার বিকালে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সরকার। মজুরি বাড়ানোর লক্ষ্যে গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের ৬ষ্ঠ সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ন্যূনতম বেতন ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে এবার আন্দোলন করছে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, গার্মেন্টস শ্রমিক ও শিল্পরক্ষা জাতীয় মঞ্চ, গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্স, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।