বিধান মন্ডল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের কোয়ার্টারের কুমার ভবনের দ্বিতীয় তলায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত (২৪ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকে ১টার মধ্যে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরে চাকরিরত জিয়াউর রহমান ও সালথা থানা পুলিশের সাবেক এসআই শফিকুল ইসলামের বাসায় চুরির এই ঘটনা ঘটে। তবে পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান বলেন, আমার স্ত্রী আগের দিন বেড়াতে যায়, আমি সকাল ১১ টার দিকে বাসা থেকে বের হইয়ে আবার বেলা ১টার দিকে ফিরে এসে দেখি বাসার তালা ভাঙ্গা ঘরের ভেতরের জিনিসপত্র সব এলোমেলো। এরপর আমি কামরুল ভাইকে ফোন দেই তিনি তৃতীয় তলায় থাকেন ঐ সময় তিনি অফিসে ছিলেন। চোরেরা আমার প্রায় ৩ ভরি স্বর্নের গহনা ও নগদ প্রায় দেড়লাখ টাকা নিয়ে গেছে। আমার ধারনা চোর আগে থেকেই জানতো আমার বাসায় গহনা ও টাকা-পয়শা কোথায় রাখি চোর মনে হয় আমাকে ফলো করতো। তারা এটাও জানতো আমার স্ত্রী বাড়িতে নেই৷ আমি পুলিশকে জানিয়েছি এখন বাকিটা দেখি তারা কি করে।
এই বিষয়ে ভবনের অন্যান্য বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা অপরিচিত তেমন কাউকে ভবনের প্রবেশ করতে বা ঘোরাঘুরি করতে দেখে নাই। তবে তৃতীয় তলার দুটি ফ্ল্যাটের একটিতে চোরেরা বাইরে থেকে লক করে রাখে। অফিস টাইম হওয়ায় প্রায় সব পুরুষ ভবনের বাইরে অবস্থান করছিল। চতুর্থ তলায় একটি পরিবার, তৃতীয় তলায় দুটি পরিবার দ্বিতীয় তলা ফাঁকা ও নিচতলায় একটি পরিবারের সদস্যরা অবস্থা করছিলো। নিচতলায় কয়েকজন ব্যাচেলার থাকলেও তারা বাইরে ছিলো বলে জানা যায়।
এই বিষয়ে সালথা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সমিত মজুমদার বলেন, ঘটনার পর ভুক্তভোগী সালথা থানায় অভিযোগ দিলে আমরা সাথেসাথে ঘটনাস্থলে যাই তারপর বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করি। আশা করছি খুব দ্রুত চুরির ঘটনার তথ্য উদঘাটন হবে। দোষিকে আমরা আটক করতে পারবো।