
পতাকা ডেস্ক: রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা ডিলারশিপের নামে সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
আজ রংপুর পাবলিক লাইব্রেরির অডিটোরিয়াম হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর মহানগর আহ্বায়ক আব্দুর রউফ।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, রংপুরে সার, বীজ ও কীটনাশকের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে। কিছু প্রভাবশালী ডিলার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, যার ফলে কৃষকদের অতিরিক্ত দামে সার ও বীজ কিনতে হচ্ছে। এর ফলে কৃষকরা কৃষিকাজে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন, যা সামগ্রিকভাবে কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তিনি আরও বলেন, “সামরিক বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কিছু কর্মকর্তা যারা গুম, খুন ও আয়নাঘরের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। কিন্তু সেই ট্রাইব্যুনালে সামরিক থেকে ভালো সমন্বয় করছে না। অপরাধী যেই হোক না কেন, তারা যেন আইনের ঊর্ধ্বে না থাকে। ফাইভ স্টার হোটেলসদৃশ সাব জেল বা এসি গাড়িতে করে ট্রাইব্যুনালে আনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে সাব-জেল প্রতিষ্ঠার জন্য দায়ী অথর্ব স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। গুম-খুন ও আয়নাঘরের কুশীলবদের বিলাসবহুল সাব-জেলে রাখার দায় তারই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ এই উপদেষ্টার পারফরম্যান্স অত্যন্ত দুর্বল। এমন ব্যর্থ নেতৃত্বের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।জনগণের অর্থে পরিচালিত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে, কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থে নয়।
তিনি আরও বলেন, “প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅ্যাবিলিটি ট্রাস্টের বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। অসৎ কর্মকর্তারা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রভাবিত করছেন, ফলে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতার অর্থ সঠিকভাবে বিতরণ না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, সরকারকে অবশ্যই এসব অসৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের তহবিল তছরুপ রোধে কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।




