sliderগণমাধ্যমশিরোনাম

সাময়িকী ‘টাইম’ আগ থেকেই কি জানতো !

শাহীন রাজা : টাইম ম্যাগাজিন কি করে জানলো ! না কি তারা আগ থেকেই জানতো ! কেন না ঐ সময়ই অনেকে বলেছেন, শেখ হাসিনার সময় দ্বারপ্রান্তে। টাইম এযাবৎকালে বেশ কয়েকজন স্বৈরাচার শাসককে নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রকাশনার ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে।শেখ হাসিনা-ও একজন অন্যতম।

গত ২০২৩ সালে ২ নভেম্বর টাইম ম্যাগাজিন প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল “হার্ড পাওয়ার: প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা এন্ড দ্য ফেইট অফ ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ।” অর্থাৎ শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’। প্রতিবেদক ছিলেন, চার্লি ক্যাম্পবেল। এই প্রতিবেদন প্রকাশের আট মাসের মাথায় শেখ হাসিনা বিদায় নেন !
এর আগে টাইম ম্যাগাজিন, ফ্যাসিস্ট হিটলারকে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করার ছয়মাসের মাথায় পতন। স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেন এবং একনায়ক মুয়ামির গাদ্দাফি’র বেলায়-ও একই ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ-ও এর বাইরে নয়।
২০২৩ সালের ০২ নভেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেছিলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাকে উৎখাত করা এত সহজ নয়। আমি আমার জনগণের জন্য মরতে প্রস্তুত।”

প্রথম কথাটি শতভাগ সঠিক। তিনি টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্র কাঠামোকে নিজমতো সাজিয়ে ছিলেন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাঁকে পরাজিত করা কোনভাবেই সম্ভব ছিল না ! তবে দ্বিতীয়টি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। শেখ হাসিনা জনগণ বা দলীয় নেতা-কর্মীদের রেখেই দেশ ত্যাগ করেছেন !

আজকে যে সকল প্রচার মাধ্যম শেখ হাসিনার সমালোচনায় মুখোর। গত নভেম্বর মাসে টাইম ম্যাগাজিনে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হবার পর, প্রশস্তি গীত গাইবার প্রতিযোগিতা পড়ে যায়। কে বেশী প্রশস্তির তেল মারবে, এই নিয়ে প্রশস্তি তেলের ব্যারোমিটারের পারদ ওঠা-নামা করতে থাকে। টিভি চ্যানেলগুলো “খ্যাপার প্যাচাল ” (টকশোতে) বন্দনা গীত প্রতিদিন। এমনকি বাংলা, ইংরেজি শীর্ষ প্রকাশিত দুই পত্রিকা-ও চাটুকারিতায় পিছিয়ে থাকেনি।
আজ শুধুই নিন্দা আর গালমন্দ ! কি বিচিত্র এই দেশে !
লেখক :সিনিয়র সাংবাদিক

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button