নজরুল ইসলাম ( মানিকগঞ্জ ): নশ্বর এই পৃথিবীতে প্রত্যেক জীবেরই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। ধর্ম সৃষ্টির ১০ হাজার বছর আগে বিজ্ঞান প্রমান করেছে জীব মাত্রই তার বিনাশ অনিবার্য্য অর্থাৎ বস্তু সদা পরিবর্তনশীল তার ক্ষয় ও লয় আছে এটিই স্বাভাবিক। পৃথিবীতে কিছু মানুষের মৃত্যু পাখির পালকের মত হালকা কিছু মানুষের মৃত্যু পাহারের সমান। এমনই একজন মানুষ মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জাবরা ইমান বাড়ী জন্মগ্রহন করেন ১৯৪১ সালের ৭ মার্চ নানা বাড়ীতে। নাম করা পীর এখলাছ মুন্সি তার মাহামহ। তার পৈত্রিক নিবাস হরিরামপুর উপজেলার শাকরাইল গ্রামে। ছোটবেলা হতেই তিনি বিদ্যানুরাগী ছিলেন এবং প্রচন্ড মেধাবী ছিলেন। ছাত্রজীবনে ইংরেজীতে বিতর্ক ও বক্তৃতা করে স্থানীয় ও জাতীয় অনেক পুরুস্কারে ভুষিত হয়েছেন। চাকরি জীবনে দেশের সর্বোচ্চ চাকরি সচিবালয়ে কাজ করেছেন নিরলস ভাবে। কুয়েত দূতাবাসের প্রথম সচিব ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সাদা মনের মানুষ। তিনি আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় মরহুম মীর আবুল হোসেন।
গত ৫ এপ্রিল ২০১৭ শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজে শেষ নি:শাস ত্যাগ করেন। গত ২৮ এপ্রিল পারিবারিক ভাবে তার কুল খানি অনুষ্টিত হয়। স্থানীয় উদ্যেগে শোক ও স্মরণসভা নাগরিক কমিটির আয়োজনে গত ৫ মে শুক্রবার,১৭ বেলা ৪ ঘটিকা হতে সন্ধা ৬.৩০ মি. পর্যন্ত মরহুমের জীবন ও কর্মের উপর জাবরা বাজার প্রাঙ্গনে শোক ও স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুস সালামের সভাপতিত্ত্বে শোক ও স্মারন সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি শফিক সেলিম। শোক প্রস্তাব পাঠ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নজরুল ইসলাম। মরহুমের জীবন ও কর্মের উপর আলচনা করেন বানিয়াজুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমেন আবুল কাশেম চতু। আলচনা রাখেন বিশিষ্ঠ শিশু সংগঠক সুজন এর জেলা সম্পাদক ইকবাল হোসেন কচি, ডা: কবি আবুল হাসান। এসময় অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধ টাইগার লোকমান, মুক্তিযোদ্ধা মইনুল হোসেন, মেজবা খান, সেলিম মিয়া। আরো উপস্থিত ছিলেন সামাজিক সংগঠন উত্তরণ এর সভাপতি বিমল রায়,সাবেক ইউপি সদস্য মমতাজ পারভিন চায়না,তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মুনমুন নাসরিন,সৈয়দ শাহীন,ছাত্র নেতা মামুন প্রমুখ।
বক্তারা প্রত্যেকেই মীর আবুল হোসেনকে একজন মানবতাবাদী মহান পুরুষ ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে তার তুলনা তিনি নিজেই ছিলেন। এই ধরনের মানুষ যুগে যুগে আসে তার আদর্শকে ধারন করলে তরুণ প্রজন্ম অন্ধকার হতে আলো পথে ফিরে আসবে। তার স্মৃতি রক্ষার্থে তার নামে একটি পাঠাগার,গবেষণাগার ও একটি রাস্তার নামকরনের দাবি করা হয।