শিবালয় (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ভ্যান, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের মোটরযান। এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাসহ সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ। এই যানবাহনগুলো কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো সাটুরিয়া জুড়ে। এ ছাড়াও সড়কের যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ও মালামাল ওঠানামা করানোয় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজটে চরম ভোগান্তিতে স্থানীয়রা। ঝুঁকিতে চলাচল করছে শিশু-নারী ও বয়স্কসহ শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন,প্রশাসনের তেমন কোন জুড়ালো নজরদারী না থাকায় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে অবৈধ এই যানবাহনের সংখ্যা। শুধু তাই নয় এসব যানবহনের অতিরিক্ত গতি এবং এগুলোর ব্রেকিং সিস্টেম ভালো না থাকায় প্রতিদিনই ঘটছে মারাত্মক দুর্ঘটনা। এ ছাড়াও অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর,অর্ধ বয়স্ক ব্যক্তি বা বয়স্ক ব্যক্তিরাই এই ইজিবাইকগুলো চালাচ্ছেন। তাদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ,নেই কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স,বোঝেনা ট্রাফিক সিস্টেম। যেখানে যাত্রীর ডাক পড়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়ে এই যানবাহনগুলো। হোক সেটা রাস্তার মাঝে কিংবা রাস্তার পাশ। এতে করে বাড়ছে দুর্ঘটনা,ব্যহত হচ্ছে অন্যান্য বাহনের চলাচল। এ সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা যায়,সাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে আবাদে বিচরণ করছে এসব বাহন। ফলে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে যানজটসহ নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা। বাসস্ট্যান্ডের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি তিনটি জেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। তাই এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা,মানিকগঞ্জ টাঙ্গাইল শহরের হাজারো মানুষ চলাচল করে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডের এই সড়কটির দুই পাশ আটকিয়ে যানবাহন রাখায় সৃষ্টি হয় চরম যানজটের। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয় পরচারী যাত্রীদের।
বিশেষ করে সপ্তাহের রবিবার ও বৃহস্পতিবার এমন যানযটের সৃষ্টি হয়,যে দুই মিনিটের রাস্তা দুই ঘন্টাও পার হওয়া যায় না। রবিবার সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ এলাকায় মানিকগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গবাদিপশুর ক্রয়-বিক্রয়ের হাট বসে। ফলে এই হাটে গবাদিপশুর ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য শুধু মানিকগঞ্জ নয় আশেপাশের কয়েকটি জেলা থেকে শত-শত ক্রেতা-বিক্রেতারা আসে। ফলে এই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আর বৃহস্পতিবার হলো সাটুরিয়া উপজেলা সাপ্তাহিক হাটেরবার । উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এই হাটে আসে। তাই সপ্তাহে এই দুইদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অটো চালক রোহিজ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান,সাটুরিয়ায় নির্ধারিত কোনো অটো স্ট্যান্ড না থাকায় তারা এভাবে সড়কের পাশে যানবাহন থামিয়ে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে। তবে নির্ধারিত স্ট্যান্ড থাকলে এরকম যানজটের সৃষ্টি হতো না বলেও তিনি জানান।
জানা গেছে,উপজেলার সড়কগুলোতে প্রতিদিন প্রায় ৬ শতাধিক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা,ইজিবাইক এবং হ্যালোবাইক চলাচল করে থাকে। অথচ ব্যাটারিচালিত এসব বাহনের নেই কোন রেজিষ্ট্রেশন বা নম্বর প্লেট।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন এ সকল যানবাহনগুলোর যত্রতত্র পার্কিংয়ের ফলে সৃষ্ট যানজট নিরসনে প্রয়জনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।