sliderআইন আদালতশিরোনাম

সাঈদী ইস্যুতে ছেলের স্ট্যাটাসে মা গ্রেপ্তার: ৮ দিন পর জামিনে মুক্ত

পতাকা ডেস্ক : ৮ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি গবেষণারত তানজিলুর রহমানের মা আনিছা সিদ্দিকা। সোমবার (২৮ আগস্ট) খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম আশিকুর রহমান তার আবেদন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যায় আনিছা সিদ্দিকা খুলনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।

এর আগে গত ২০ আগস্ট সকালে নগরীর বয়রা হাজী ফয়েজ উদ্দিন সড়কের বাবার বাড়ি থেকে আনিছা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার করে নগরীর খালিশপুর থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে খালিশপুর থানার ওসি মনিরুল গিয়াস সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার জন্য সমবেত হওয়া আনিছা সিদ্দিকাসহ মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।

তবে আনিছা সিদ্দিকার ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি গবেষণারত তানজিলুর রহমান অভিযোগ করেন, ফেসবুকে মওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে লেখালেখি করায় তার মামার বাড়ি ভাঙচুর করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগের লোকজন। সেখানে গিয়ে ভাঙচুরের প্রতিবাদ করায় তার মাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

ছেলের ফেসবুক স্ট্যাটাসে মা গ্রেপ্তার-সংবাদ নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও আনিছা সিদ্দিকার মুক্তি দবি করেন। আনিছা সিদ্দিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিরুল ইসলাম পান্না বলেন, গত ২২ আগস্ট মহানগর হাকিমের আদালতে প্রথম জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু জামিন পাওয়া যায়নি। গত ২৪ আগস্ট আবারও জামিনের আবেদন করা হলে তাও নাকচ করেন আদালত। ২৭ আগস্ট খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পুনরায় জামিনের আবেদন করা হয়। যা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ক্রিঃ মিস ৮৮২/২৩ নাম্বারে রেকর্ডভুক্ত হয় এবং ৩১ আগস্ট নথি প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে শুনানির জন্য দিন ধার্য হয়। সোমবার নথি আসায় মহানগর দায়রা জজ আদালতের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম আশিকুর রহমান জামিন শুনানি করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে শুনানিতে অংশ নেন পিপি অ্যাডভোকেট কেএম ইকবাল হোসেন।

আনিছা সিদ্দিকার স্বামী আলমগীর শিকদার বলেন, সোমবার সিদ্দিকা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি শারীরিক ভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছেন, তবে মানসিক ভাবে শক্ত রয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button