sliderগণমাধ্যমশিরোনাম

সাংবাদিক সোহানা তুলির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

পতাকা রিপোর্ট : বাংলা ট্রিবিউনের সাবেক সাংবাদিক সোহানা পারভিন তুলির (৩৮) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর রায়েরবাজারের মদিনাবাগ মসজিদের পাশে ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ২০১৮ সাল থেকে রায়ের বাজারের শেরেবাংলা নগর রোডের ২৯৯/৫ বাসার দ্বিতীয় তলায় থাকতেন। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর এক বান্ধবীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান গণামধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সোহানা তুলি সাংবাদিকতা ছেড়ে মনোহর নামে একটি অনলাইন শপ খুলে সেখানে মসলা জাতীয় পণ্য বিক্রি করতেন। পরিবারের ধারণা, এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে সোহানা তুলির মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বাংলা ট্রিবিউনের সাবেক সহকর্মীরা। তাদের দাবি এটি আত্মহত্যা হতে পারে না। কেউ তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে। কারণ মরদেহটি হাঁটুগেড়ে ঝুলে ছিল। মরদেহের পাশে একটি টুল পাওয়া যায়।
সোহানা তুলির ছোটভাই মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার যশোর থেকে ঢাকায় এসে আমি এক বন্ধুর বাসায় উঠি। দুপুরে আপুর সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল।
এরপর আর কথা হয়নি। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খিলক্ষেতে যাই। খিলক্ষেতে থাকা অবস্থায় আব্বু ফোন করে বিষয়টি জানান। তুলির এক বান্ধবী বাসায় এসে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। পরে কেয়ারটেকারসহ আশেপাশের বাসিন্দারা নিজ কক্ষের ভেতর তুলির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। এ ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় মামলা হয়েছে।
সোহানা তুলির বাড়ি যশোর সদরের বটতলা এলাকায়।
পুলিশ জানায়, ওই বাসার ছয় তলার দ্বিতীয় তলায় থাকতেন তিনি। বান্ধবীর সঙ্গে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। বিকেলে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সোহানা তুলি। পড়াশোনা শেষে করে সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button