১০ জুন ২০২২ জাতীয় সংসদে ঘোষিত বাজেটের উপর প্রগতিশীল কৃষক সংগ্রাম পরিষদের এক জরুরী সভা জোটের অস্থায়ী কার্যালয় ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সহ-সভানেত্রী রেহানা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড বদরুল আলম ও জায়েদ ইকবাল খান, জাতীয় কৃষক জোটের যুগ্ম সম্পাদক কাম্রুজ্জামান ফসি, বাংলাদেশ চাষি সমিতির আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ বিশ্বাস, শ্রমজীবী আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুনার রশিদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কৃষক সভার সভাপতি এএএম ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ আদিবাসী সমিতির সভাপতি অমলি কিসকু, বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতির নেতা ডাঃ সামসুল আলম, ও নুর মোস্তফা প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ কৃষি খাতে অপ্রতুল বরাদ্দে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের অর্থনীতিতে অতি মূল্যস্ফীতির চাপ হ্রাস পেত যদি কৃষিতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিত। করোনাকালীন সময় কৃষক উৎপাদন করে দেখিয়ে দিয়েছে দেশের চরম সংকট মোকাবেলায় কৃষির বিকল্প নেই। তাঁরা বলেন, গত মাসে সংবাদ সম্মেলনে করে ১৫টি কৃষক, খেতমজুর ও ভূমিহীন সংগঠনের বৃহত্তর জোট প্রগতিশীল কৃষক সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ হতে জাতীয় বাজেটের ১৫% কৃষি খাতে বরাদ্দের দাবী করা হয়েছিল। বিস্ময়করভাবে দেখা যাচ্ছে যে সরকার কৃষি, খাদ্য ও মৎস্য মিলিয়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে যা দাবীকৃত বরাদ্দের তুলনায় নগন্য।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদ সম্মেলন হতে সর্বজনীন রেশনিং ও ষাটোর্ধ বয়স্ক কৃষকের জন্য সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মত পেনশন চালু করারও পরামর্শ দেয়া হয়েছিল কিন্তু লক্ষ্য করা গেল একটি বিতর্কিত ‘সর্বজনীন পেনশন’ চালু করার ঘোষণা দিলেও রেশনিং প্রশ্নে কিছুই বলা হয় নি।
নেতৃবৃন্দ বাজেটে বিদেশে পাচারকৃত অবৈধ কালোটাকা সাদা করার যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, সরকার কালো টাকা জনগণের স্বার্থে ব্যবহারের করার কথা না ভেবে লুটপাটকারীরদের স্বস্তির ব্যবস্থা করেছে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে চূড়ান্ত বাজেট ঘোষণার পূর্বে সংশোধন করে ৯০ ভাগ গরিব শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের স্বার্থে গণমুখী বাজেট পাস করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি