
‘স্বাধীনতা সাম্য সম্প্রীতির জন্য কবিতা’ প্রতিপাদ্যে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত দুদিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু হয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে সকাল এগারোটায় ৩৭তম জাতীয় কবিতা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জাতীয় পতাকা ও কবিতা পরিষদের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কবিতা উৎসবের উদ্বোধন করেন।
পতাকা উত্তোলন মঞ্চে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শহীদ নাফিসের বাবা গোলাম রহমান, কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক কবি মোহন রায়হানসহ কবিতা পরিষদের নেতারা ও কবিরা।
এ সময় বেলুন ও শান্তির বাহক পায়রা ওড়ানো হয়। উৎসব উদ্বোধনের পর মঞ্চে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এ সময় একুশের গান, উৎসবসংগীত ও জুলাইয়ের গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পীরা। দুদিনব্যাপী এই উৎসবের আজকে প্রথম দিনে দিনব্যাপী পাঁচটি পর্বে কবিতা পাঠ করবেন আমন্ত্রিত দেশি-বিদেশি কবিরা ও নিবন্ধিত কবিরা।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আবৃত্তি পর্ব ও কবিতার গান পর্বের মধ্য দিয়ে আজকের কবিতা উৎসব শেষ হবে।
রোববার সকাল ১০টায় তারুণ্যের গান পর্বের মধ্য দিয়ে উৎসবের দ্বিতীয় ও শেষ দিনের উদ্বোধন করা হবে। দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনটি পর্বে নিবন্ধিত কবিরা কবিতা পাঠ করবেন। দ্বিতীয় দিনে বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে ‘স্বাধীনতা সাম্য ও সম্প্রীতি : বাংলাদেশের কবিতা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল আলোচনা করবেন গবেষক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান।
বিকেল ৫টায় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আমন্ত্রিত কবিরা কবিতা পাঠ করবেন। আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পীদের নিয়ে রাত ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত আবৃত্তি পর্ব ও আমন্ত্রিত শিল্পীদের অংশগ্রহণে নৃত্যপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। রাত ৯টায় সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে ৩৭তম জাতীয় কবিতা উৎসবের।