রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ সন্ত্রাস এবং শান্তি একসাথে চলতে পারেনা। শান্তিচুক্তির নামে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা সরকারের সাথে ধোঁকাবাজি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মাহবুব উল আলম। তিনি আরও বলেন, যারা অস্ত্রবাজী ও সন্ত্রাসী করে মানুষকে জিম্মি করে এই এলাকায় মানুষের ঘুম হারাম করছেন তাদের অনুরোধ করবো আপনারা অস্ত্র পরিহার করুন।
সোমবার সকালে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ইন্সটিটিউটে আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় এভাবে মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার (এমপি)’র সভাপতিত্বে সংসদীয় হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মুসা মাতব্বরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মহিলা সরংক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে হানিফ আরো বলেন, রাষ্টের সাথে সংঘাতে জড়ানোর চেষ্টা করবেন না। সরকার থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বার বার অনুরোধ করা হচ্ছে আপনারা অস্ত্র পরিহার করুন। নাহয়, অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলবে।
রাঙামাটির উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই রাঙামাটি হতে পারত কক্সবাজারের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্যটন শহর। এটা যদি তেমনি পর্যটন নগরী হয়, তাহলে সবচেয়ে আয় সমৃদ্ধ জেলা হতে পারে রাঙামাটি। এখানে সব উন্নয়ন থেমে যাচ্ছে একটাই কারনে। আর তা হল এই পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যের কারনে।
সভাপতির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, গত ১৭ই মার্চ জয় ত্রিপুরা নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। জয় ত্রিপুরার কোন শত্রু থাকতে পারে বলে আমার মনে হয়না। তার ব্যাপারে আজ পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসে নি। সম্প্রতি বান্দরবানে এক সেনা অফিসার কে হত্যা করা হয়েছে। আমি এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রসাশনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জয় ত্রিপুরার হত্যাকারীদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। না হয় ছাত্রলীগের এই ক্ষোভ বিক্ষোভে পরিনত হতে পারে। যদি তাই হয় তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারে। তাই অন্য রকম পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিৎ।