বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চসিক নির্বাচনে দলটির মেয়র প্রাথী©র প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জনগণের ওপর আওয়ামী লীগের আস্থা নেই বলেই চসিক নির্বাচনে বিএনপির প্রচারে বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে। সন্ত্রাস, ভয়ভীতি ও অস্ত্রবাজি আওয়ামী লীগের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন বলেই তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।
সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে চসিক নির্বাচনে দলের মেয়র প্রার্থীর সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে চট্টগ্রামে প্রকৃত অর্থে যেসব নির্বাচন হয়েছে প্রায় সব নির্বাচনেই বিএনপি জিতেছে। দেশের জনগণ এখনো গুমরে কাঁদছে, তাদের আবেগ-প্রত্যাশা ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য। ২৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের এই প্রত্যাশা পূরণ করবে।
সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে একটি প্রজেক্ট হিসেবে নিয়েছে। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে তারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করছে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপি আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী, আমাদের নেতাকর্মীরাও আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। ডা. শাহাদাত হোসেন অনেক জনপ্রিয় প্রার্থী। তিনি দীর্ঘদিন রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন। নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে ছিলেন। তাকে বিজয়ের জন্য এ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ২৭ জানুয়ারি নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সজাগ থাকতে হবে।
সভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন চাই, একটি সুন্দর শহর চাই, একটি স্মার্ট সিটি চাই। এমন একটি নির্বাচন হবে যাতে জনগণ নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। চট্টগ্রাম আজ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির প্রচারে বাধা দিচ্ছে। বারবার অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না; বরং দিন দিন অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্করের পরিচালনায় সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, ড. সুকোমল বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মশিউর রহমান বিপ্লব।