
আজ সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নির্বাচিত সংগঠকদের দুই দিনব্যাপী রাজনৈতিক – সাংগঠনিক কর্মশালা উদ্বোধন করতে যেয়ে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, রাজনীতির আসল লড়াই এর আগেই আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে হেরে বসে আছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারকদের বেসামাল কথাবার্তাই তার প্রমান ।আওয়ামী লীগ হেরে গেলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাওয়ার কথাবার্তা তাদের পরাজয়ের আগাম ইংগিত। তারা তাদের কথিত খেলা শুরুর আগেই আমি আর হেরে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছেন; যা আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মী সংগঠদের অবশিষ্ট মনবলকেও তলানীতে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী অধ্যাপক ইউনুসকে নিয়ে যা করা হচ্ছে তা সরকার ও সরকারি দলের হীনমন্যতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনুস তাঁর আয়কর বা শ্রম আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটালে দেশের প্রচলিত আইনে তার যথাযথ সুরাহা ও বিচার করার স্বাভাবিক সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অধ্যাপক ইউনুসের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা ও গত প্রায় দেড় দশক ধরে তাকে পরিলকল্পিত হয়রানির ঘটনাবলি প্রমান করে যে, তিনি ধারাবাহিক রাষ্ট্রীয় রোষানলের শিকার হয়েছেন; তাকে এক নিরবিচ্ছিন্ন বিচারিক হেনস্তায় অপমানিত হতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, হীনমন্যতার কারণে সরকার ও সরকারি দল বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম রুপকার জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুর পরেও তাদেরকে ন্যুনতম সম্মান জানাতে পারেনি। তিনি বলেন,এই সরকারের আমলে কোন গূণী মানুষই সম্মানিত ও নিরাপদ নন।তারা এমন একটা ভাষ্য তৈরীর চেষ্টা করছেন যে, আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করলে সবাই দেশদ্রোহী বা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী। এটা পুরোপুরি ফ্যাসিবাদী চিন্তা; এর সাথে আধুনিক বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক চিন্তা ও মনোভাবের কোন সম্পর্ক নেই।
তিনি সদ্যবিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর গতকাল বিচারালয়কে রাজনীতিকরন না করা সম্পর্কিত বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসাবে আখ্যায়িত করে এটাকে তাঁর বিলম্বিত বোধহয় হিসাবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি থাকাকালে তিনি যদি নীতিনিষ্ঠভাবে এই অবস্থান ধরে রাখতে পারতেন তাহলে দেশ ও জনগণ আরও বেশী উপকৃত হত।
তিনি চলমান গণআন্দোলনকে গণ অভ্যুত্থানের পথে নিয়ে যেতে পার্টি সংগঠকদের উপযুক্ত রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।
সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালা শুরু হয়েছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী,আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক,মাহমুদ হোসেন প্রমুখ।
কর্মশালায় বিভিন্ন জেলার নির্বাচিত সংগঠকবৃন্দ অংশগ্রহণ করছেন।