সখীপুরে শত্রুতা করে চাষের পুকুরে গ্যাস টেবলেট দিয়ে মাছ নিধন

খাঁন আহম্মেদ হৃদয় পাশা, সখীপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডের ইন্দারজানী মৌজার ভাতগড়া গ্রামের মৃত আতর আলী সরকারের ছেলে মৎস খামারী মোঃ মুকসেত আলী সরকারের পুকুরে রাতের আঁধারে দূর্বৃত্ত কর্তৃক মাছ মারার গ্যাস টেবলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। গ্যাস টেবলেট নিক্ষেপের ফলে সমস্ত মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখা গেছে। মৎস্য খামারীর দাবি জমি সংক্রান্ত শত্রুতার রেশ ধরেই এমনটা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) আনুমানিক গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মৎস্য খামারী মোঃ মুকসেত আলী সরকার ধারণা করছেন তিনি।
মৎস্য খামারী মোঃ মুকসেত আলী সরকার সাংবাদিক কে বলেন, মূলত শরীকি জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় আমার চাচাতো চাচা মৃত ইসমাইল হোসেন এর ছেলে চাচাতো ভাই কুয়েত প্রবাসী মোঃ শহীদুল ইসলাম ও বোন জামাই ইসমাইল হোসেন গং গত সোমবার (২২ মে) দলবল নিয়ে তার পুকুরের আইল কেটে দেন এবং মঙ্গলবার থেকে পুকুরের সমস্ত মাছ মরে ভেসে ওঠতে দেখা যাচ্ছে।
আমি কৃষি ব্যাংক থেকে ১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে এ খামার স্থাপন করেছি দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর এখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম, আমি ইতি মধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে এবিষয়ে অবগত করেছি, কিন্তু তারা বিষয়টি অস্বীকার করে কোন বিচারে বসছে না তারা। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এব্যাপারে স্থানীয় মাতব্বর ভূয়াইদ মাইজবাড়ীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মুজিবুর রহমান ও স্থানীয় ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার ডিএম রফিকুল ইসলাম রফিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমিসহ এলাকার অনেকেই ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি পুকুরের সমস্ত মাছ মরে ভেসে ওঠেছে, কে বা কারা এটা করেছে তা ওরা কেউ দেখেনি, তবে যেই এমন ন্যাক্কার জনক কাজটি করেছে তারা কাজটি ঠিক করে নাই। তবে তাদের জমি সংক্রান্ত কোন জটিলতা থাকলে তা উভয় পক্ষের সাথে বসে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল হোসেন দুলাল বলেন, ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে অবশ্যই তাদের বিচারের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গ্রামবাসী অনেকেই এমন গর্হিত কাজকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখছেন এবং প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি দাবি করেন তারা।
ঘটনা সম্মন্ধে জানতে ভাতগড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেন এর ছেলে কুয়েত প্রবাসী মোঃ শহীদুল ইসলাম ও বোন জামাই ইসমাইল হোসেনকে প্রশ্ন করা হলে, তারা ঘটনা কে মিথ্যা দাবি করে এবং ঐ দিন তারা এলাকায় ছিলেন না বলে জানান।
তবে তাদের সাথে মুকসেত আলী সরকার ও ওয়াজেদ আলী সরকারের জমি সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে বলে জানান শহীদুল ও বোন জামাই ইসমাইল হোসেন এবং এজন্য তাদের বিভিন্ন ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবী করেন তারা।