খাঁন আহম্মেদ হৃদয় পাশা,সখীপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবকে ঘিরে সখীপুর ২৮টি মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের রংবেরঙে আলোকসজ্জার কাজ। দক্ষ শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় মাটির প্রতিমা হয়ে উঠছে অপরূপ। একই সঙ্গে দুর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ করতে দিনরাত মন্দিরগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসবে শান্তি-শৃঙ্খলা ও উৎসবের আমেজ বজায় রাখতে কঠোর নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কিছুটা শঙ্কার কথা জানিয়েছেন সনাতন ধর্মীবলম্বী নেতারা।
পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়নের ২৮টি মণ্ডপে চলছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতির কাজ। দম ফেলার ফুরসত নেই কারিগর থেকে শুরু করে তোরণ নির্মাণ ও আলোকসজ্জার কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর। মণ্ডপে মণ্ডপে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবকরাও। প্রতিমায় চলছে শেষ মুহূর্তের রং তুলির আঁচড়।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও উপজেলার ২৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন আমাদের পাশে আছেন। তাই পূজা মণ্ডপে কোন বিশৃঙ্খলা ঘটনা নিয়ে আমরা সংকুচিত নই। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করেছি। আশা করি, এবারের পূজা আনন্দ ও নিরাপদে উদযাপন করতে পারব।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, পূজা মণ্ডপগুলোতে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে, সেই জন্য পুলিশ সর্বদা কাজ করবে। প্রতিটা মণ্ডপে পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও গ্রামপুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবকের বিভিন্ন টিম কাজ করবে। দেবী বিসর্জন পর্যন্ত সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক নজরদারি থাকবে।