
খাঁন আহম্মেদ হৃদয় পাশা,সখীপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল সখীপুরে অনাস্থা দেওয়া সেই নয় মেম্বারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা করেছে ইউপি চেয়ারম্যান জামাল হোসেন।
সোমবার (২০ মে) টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সখীপুর আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারি কাজের বরাদ্দকৃত টাকা, গম ও চাউল আত্মসাৎ করার প্রস্তাব করায় চেয়ারম্যান সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইউপি সদস্যরা পরস্পরের যোগসাজশে চেয়ারম্যানের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। তারই প্রেক্ষিতে ইউপি সদস্যদের অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যান জামাল মিয়ার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুটপাটের অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায় গত ১৫ মে বুধবার কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে বিদেশ পাঠানোর নামে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল হোসেনকে দীর্ঘ সময় রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে ভুক্তভোগীরা।
এ সময় তারা ইউনিয়ন পরিষদও ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ এসে চেয়ারম্যান জামাল মিয়াকে উদ্ধার করে। পরে চেয়ারম্যান ও তার ছেলে আলমগীর হোসেন চাঁন ২২ মে বুধবার ভুক্তভোগীদের টাকা এবং পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পাওনাদারদের টাকা ফেরত দেয়ার দুইদিন আগে এ মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যদের পক্ষে মামুন শিকদার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে সত্যকে গোপন রাখতে পারবে না। বরং সেই আমাদের নয় জন ইউপি সদস্যসহ এ ইউনিয়নের ৭০ জনের কাছ থেকে বিদেশে পাঠানোর নামে বিভিন্ন পরিমাণে টাকা আত্মসাৎ করেছে। তার প্রেক্ষিতে আমরা তাকে অনাস্থা দিয়েছি।
উল্লেখ, গত (২ মে) বৃহস্পতিবার কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন ও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, ইউপি সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহারসহ মোট ১০ টি অভিযোগ উল্লেখ করে ওই ৯ ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানকে অনাস্থা দেয়।