sliderস্থানীয়

সখীপুরে অধ্যক্ষের অফিসে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

খাঁন আহম্মেদ হৃদয় পাশা, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ভূয়াইদ টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান জুয়েল এবং বাংলা প্রভাষক হালিমা রেজার উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। রবিবার (১৬ অক্টোবর)সকালে ওই কলেজের পক্ষে শিক্ষার্থীবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসীর আয়োজনে উপজেলার বড়চওনা -তৈলধারা সড়কের ছোট চওনা ঘাটপার এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, গত ১১ অক্টোবর বেলা একটার দিকে হাজিরা খাতায় জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান জুয়েল এর পরে বাংলা প্রভাষক মোছাঃ হালিমা রেজা’র নাম লেখায় ক্ষিপ্ত হন ওই কলেজের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম ও গেস্ট টিচার ওমর ফারুক রবিন। এসময় তারা অধ্যক্ষের অফিস কক্ষেই অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান জুয়েলের উপর চড়াও হয়, এসময় প্রভাষক হালিমা রেজা বাধা দিতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করেন তারা।
মানববন্ধনে অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান জুয়েল বলেন- আমার অনুপস্থিতিতে প্রভাষক রফিকুল ইসলাম নির্বাচনী পরীক্ষা না নিয়েই নিয়ম বহির্ভূত ভাবে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অর্থ গ্রহণ করাসহ নিয়মবহির্ভূত ভাবে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ও কলেজের চার লক্ষ টাকার হিসাব দিতে অস্বীকার করেন। মানব বন্ধনে বক্তারা প্রভাষক রফিকুল ইসলাম ও ওমর ফারুককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।
মানববন্ধনে ভুয়াইদ টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এন্ড বিএম কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য মান্নান শিকদারের সভাপতিত্বে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান জুয়েল, সাবেক ছাত্রনেতা নূরে আজম, ওই প্রতিষ্ঠানের জমিদাতা সদস্যের সন্তান খান আহমেদ হৃদয় পাশা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যদের মধ্যে এসময় ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা শামসুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল, খালেক ভেন্ডার, ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হালিমা রেজা, শিল্পী আক্তার, আমিনুল ইসলাম, দপ্তরি ফরহাদ ও অফিস পিয়ন হাবিবুল্লাহসহ শতাধিক শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সমন্বয়ে মানববন্ধনে প্রায় চার শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন- কলেজের অফিস কক্ষে হামলার ঘটনায় সখীপুর থানা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। পরিচালনা পর্ষদের সাথে সমন্বয় না করে ফরম পূরণের জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে থাকলে তা ঠিক হয়নি। আর অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর অধ্যক্ষ ফিরে আসলে দায়িত্ব ছেড়ে না দেওয়াটাও নিয়ম বহির্ভূত।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button