sliderউপমহাদেশশিরোনাম

শ্রীলঙ্কায় তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে সরকারের পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের

শ্রীলঙ্কায় তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সোমবার রাজধানীতে রাষ্ট্রায়ত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী মিছিল করেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দায়ী এবং প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি।
সঙ্কট কাটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাত্র এক মাস আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
শ্রীলঙ্কা প্রায় দেউলিয়া এবং এ বছর সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশী ঋণ পরিশোধ স্থগিত করেছে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর দেশটিকে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
দ্বীপ রাষ্ট্রটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও প্রায় শেষ। এ জন্য দেশটি খাদ্য, জ্বালানি ও গ্যাস আমদানি করতে পারছে না। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর মতো জ্বালানি না থাকায় প্রতিদিনই দীর্ঘ সময় ধরে লোডশেডিং হচ্ছে।
সাম্প্রতিক কয়েক মাসে মানুষজন জ্বালানি ও গ্যাস কিনতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন এবং জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে দেশটি ভারতের বর্ধিত করা ক্রেডিট লাইনের ওপর টিকে আছে।
এই ক্রেডিটও ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং শিক্ষকদের অনলাইনে পড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে। সীমিত জ্বালানির মজুত সঞ্চয়ে অপরিহার্য নয় এমন কর্মচারীদের এক সপ্তাহ বাসা থেকে কাজ করতে বলেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কর্মকর্তারা বর্তমানে একটি বেলআউট প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করতে শ্রীলঙ্কায় রয়েছেন।
কয়েক মাসব্যাপী বিক্ষোভ গত দুই দশকের অধিকাংশ সময় ধরে শ্রীলঙ্কা শাসন করা রাজাপাকসের রাজনৈতিক ভাগ্যকে নড়বড়ে করে দিয়েছে।
গত মাসে রাজাপাকসের ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে আরো দুই ভাই ও এক ভাতিজা মন্ত্রিসভার পদ ছাড়েন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button