
জেতার সম্ভাবনা জাগিয়েও দুবাই টেস্টে জিততে পারলো না পাকিস্তান। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার কাছে ৬৮ রানে হেরে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো তারা। এই হারের জন্য ব্যাটিং বিপর্যয়ই মূল কারণ হিসেবে দেখছে পাকিস্তান। কারণ দুটি টেস্টের কোনোটিতেই শক্তভাবে ব্যাটিং করতে পারেনি তারা।
দুবাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪৮২ রানের বিশাল স্কোর করে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তার জবাবে মাত্র ২৬২ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য শ্রীলঙ্কা দাঁড়াতেই পারেনি। মাত্র ৯৬ রানে থেমে যায় লঙ্কানদের দ্বিতীয় ইনিংস। চার উইকেট নিয়ে তাদের ব্যাটিং অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন ওয়াহাব রিয়াজ। পাশাপাশি তাকে সঙ্গ দিয়েছেন হারিস। মাত্র এক ওভার বল করেই তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পরও প্রথম ইনিংসে ৪৮২ রান করার সুবাদে ৩১৭ রানে বড় লিড পায় শ্রীলঙ্কা।
কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয় কাটেনি পাকিস্তানের। ৩১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দিলরুয়ান পেরেরার বলে শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সামি আসলাম (১)। চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন আজহার আলী (১৭)। খানিক পর দিলরুয়ানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে হারিস (৪৯) সাজঘরে ফিরলে কঠিন অবস্থা তৈরি হয় পাকিস্তানের। সেটা আরো বড় আকার ধারণ করে শান মাসুদের (২১) পরপরই বাবর আজম (০) আউট হলে। কিন্তু শেষমেষ ম্যাচের হাল ধরেন আসাদ শফিক এবং সরফরাজ আহমদ। তারা লঙ্কান বোলিং অ্যাটাক প্রতিরোধ করে ১৪৬ রানের জুটি গড়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেন। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিনে খেলতে নেমে একই হাল। আসাদ শফিক সেঞ্চুরি পেলেও অন্য কেউ দাঁড়াতেই পারেনি। শেষ দিনে মাত্র ৫১ রান যোগ কেরতেই বাকি ৫ টি উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। ফলাফল ৬৮ রানে পরাজয়।
সিরিজের প্রথম টেস্টেও নাটকীয়ভাবে হেরে যায় পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার দেয়া ১৩৬ রানের টার্গেট পেরোতে পারেনি স্বাগতিকরা। ম্যাচটি ২১ রানে হেরে যায় তারা।