টানা দুই হারে সিরিজ খোয়ানো জিম্বাবুইয়ানরা হোয়াইটওয়াশ এড়ালো দারুণ এক জয়ে। আজ রাওয়ালপিন্ডিতে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়েছে অতিথিরা।
২৭৯ রানের লক্ষ্যে নেমে ৮৮ রানেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ষষ্ঠ উইকেট পড়লো দলীয় ১৫১ রানে। এ ম্যাচে জয়ই দেখছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত নাটকীয়ভাবে টাই হয়। ব্লেসিং মুজারাবানির করা সুপার ওভারে মাত্র ২ রান সংগ্রহ করতে পারে পাকিস্তান। যেটি ৩ বলেই টপকে যায় জিম্বাবুয়ে।
সপ্তম উইকেটে বাবর আজম-ওয়াহাব রিয়াজের রানের জুটিতে ম্যাচটা প্রায় বেরই করে ফেলেছিল পাকিস্তান। দলীয় ২৫১ রানে ওয়াহাব আউট হলে আবার ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় জিম্বাবুয়ের দিকে। ৫৬ বলে ৫২ রান করেন ওয়াহাব।
শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ২০ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের, হাতে ৩ উইকেট। ব্লেসিং মুজারাবানির করা ৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান বাবর আজম। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করেন তিনি। এরপরই নাটক। পঞ্চম বলে শাহীন আফ্রিদি ও ষষ্ঠ বলে আউট হয়ে যান বাবর। ক্যারিয়ারের ১২তম ওয়ানডে শতক ছুঁয়ে আউট হন ১২৫ রানে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন হয় ১৩ রান। এনগাভারার করা প্রথম বলে চার হাঁকান মুহাম্মদ মূসা। পরের পর সিঙ্গেল। তৃতীয় বল ডট। চতুর্থ বলে আসে ২ রান। পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নেয়ায় শেষ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৫ রানের। মূসার বাউন্ডারিতে ম্যাচ হয়ে যায় টাই। ৪৯ রানে ৫ উইকেট নেন পেসার মুজারাবানি।
সুপার ওভারে প্রথম বলেই আউট মোহাম্মদ ইফতিখার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে সিঙ্গেল। চতুর্থ বলে বোল্ড হন খুশদিল শাহ। ৩ রানের লক্ষ্যে নেমে শাহীন আফ্রিদির প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন ব্রেন্ডন টেইলর। দ্বিতীয় বল ডট হলেও তৃতীয় বলে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন সিকান্দার রাজা।
এর আগে শন উইলিয়ামসের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৭৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। ১৩৫ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন উইলিয়ামস। ১৩ চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান এই বাঁহাতি। এছাড়া উইকেটরক্ষক ব্রেন্ডন টেইলর ৫৬ ও সিকান্দার রাজা করেন ৪৫ রান। পাকিস্তানের হয়ে পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন ১০ ওভারে ২৬ রানে নেন ৫ উইকেট। ওয়ানডেতে এটি তার সেরা বোলিং ফিগার।