শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে চককল্যানী এলাকায় বাঙ্গালী নদী দখল করে কাউকে মাছ না মারতে দেয়ার ঘটনায় কয়েকদিন আগে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবর সাধারণ মানুষ অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ১৫ মার্চ রোববার সকালে নদীতে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে প্রায় কয়েক লাখ টাকার বিভিন্ন জাতের মাছ নিধন করে বাজারে বিক্রি করেছে প্রভাবশালীরা। এতে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে জেলেদের।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চককল্যানী গ্রামে ময়ান উদ্দীনের বাড়ি থেকে আজহারের বাড়ি পর্যন্ত মরা বাঙ্গালী উল্লেখ করে পেন কালচার কার্যক্রমের জন্য সরকারীভাবে লীজ নেয়ার নাম করে ময়ান, স্বপন, খালিলসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নদী দখল করে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে মাছ নিধন করছে। শুধু তাই নয় সেখানে সুঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদের আদেশক্রমে এখানে মাছ ধরা নিষেধ নামের একটি সাইনবোর্ডও ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে করে দুর্বিসহ জীবন কাটছে স্থানীয় জেলেদের। নদীতে সখের বসে হুইল বর্শি দিয়ে মাছ শিকারীদের সাথে প্রায়ই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বেশ কয়েকদিন আগে হুইলবর্শি দিয়ে মাছ শিকারী মাহফুজার রহামান, মুঞ্জুর আলম, বাবু, আব্দুল মান্নান ও আতিকুর রহমান সহ প্রায় ২৫ জন সাধারণ মানুষ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু সেই অভিযোগের কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারাতে বসেছে সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে সুঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জানান, আমার নাম ব্যবহার করে যে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া সেটা আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নদী দখল করে গ্যাস প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ নিধন করে প্রাকৃতিক পরিবশে নষ্ট করা আইনত অপরাধ। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।